শক্তি কত প্রকার ও কি কি? আসলে শক্তি যে কত প্রকার তার সঠিক সংজ্ঞা নির্ধারণ করা কঠিন। ঠিক একইভাবে শক্তি কাকে বলে তারও সঠিক সংজ্ঞা দেয়া কঠিন। শক্তি হল তাই যা দিয়ে কোন কিছু অর্জন, আয়ত্ত, দখল, দমন, শোষণ ইত্যাদি ইত্যাদি করা যায়। শক্তির প্রকার বলতে শারীরিক শক্তি, মানসিক শক্তি, জ্ঞানের শক্তি, অর্থ ও সম্পদের শক্তি, যৌন শক্তি, সামাজিক শক্তি, পারিবারিক শক্তি, রাষ্ট্রীয় শক্তি ইত্যাদি ইত্যাদি।
পৃথিবীর শুরু থেকে যাদের শক্তি বেশি তারাই শাসন শোষণ করেছে তাই মনে হয় প্রবাদ হয়েছে জোর যার মুল্লুক তার। জোর বা শক্তির জন্য ব্রিটিশরা বিশ্ব শাসন করেছে ৪০০ বছর। মোঘলরা আর অন্যান্য শক্তিমত্তার জাতিরাও ভারত শাসন করেছে হাজার হাজার বছর। এসব জাতিসত্তার শাসন-শোষণের নতুন নাম প্রবর্তন হয়েছে গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি। এখন বিভিন্ন দল নাম দিয়ে জাতিসত্তার শাসন-শোষণের পরিবর্তে শক্তির রকমফেরে প্রবর্তন হয়েছে দলীয় শাসন শোষণ ইত্যাদি ইত্যাদি। অর্থাৎ মানুষকে শাসন শোষণ করার একটি নব্য কৌশল যা চলছে পৃথিবীব্যাপী। এটি কোন নির্দিষ্ট জাতি গোষ্ঠী বা ভূখন্ড বা রাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শক্তির জোরেই বুঝি সিংহ হয়েছে বনের রাজা, ষাঁড় হয়েছে শত শত গাভীর পতি, পুরুষ হয়েছে নারীর পতি। অর্থ-সম্পদ আর পারিবারিক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় হয়েছে সমাজপতি ইত্যাদি ইত্যাদি। বিশ্বের মানচিত্রে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ব্রিটিশ, জার্মানি, ফ্রান্স সবাই শক্তির জোরে পরাশক্তি আবার অনেকেই জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতার অধিকারী। সৃষ্টি কর্তা সর্বশক্তিমান তাই বুঝি আমরা মানব সমাজ তার ইবাদত করি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
আগামীনিউজ/নাসির