সাংগঠনিক কৌশলসমূহঃ
১। প্রতিষ্ঠান তার আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য অন্য কারো নিকট হাত পাতে না।
২। প্রতিষ্ঠান তার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারও সাহায্য নেয় না।
৩। ছোট একটি গ্রামকে টার্গেট করে ঐ গ্রামটিকে পরিবেশ সম্মত করবার লক্ষ্যে গ্রামের সকল মানুষকে সচেতন ও সক্রিয় করা। গ্রামটিকে পরিবেশ সম্মত করবার জন্য যাবতীয় বস্তুগত সরবরাহ নিশ্চিত করা। তবে তারা যাতে ভোগবাদী বা ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী উৎপাদনে ঋণ ব্যবহার করতে উতসাহী না হয়ে সামাজিক উৎপাদনে ব্যয় করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৪। একই গ্রামে মিশনভূক্ত পরিবারগুলিকে আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে আত্মনির্ভর করার লক্ষ্যে অর্থনইতিক (ঋণ ইত্যাদি) সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে টেকসই ও স্থায়ী পদ্ধতি গড়ে তোলা।
৫। তাদের গৃহীত আয় বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডের সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক কারিগরি সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
৬। মিশনভূক্ত পরিবারগুলিতে সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নৈতিক তথা মানবিক উন্নয়ন বিষয়ক দিকগুলির বিকাশের ব্যবস্থা করা।
৭। সরকারী ও বেসরকারী সংগঠনগুলির সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও এদের প্রদত্ত সুবিধাগুলি মিশন পরিবারগুলিতে নিশ্চিত করা।
৮। উপরোক্ত (২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম) কৌশলটি বিচ্ছিন্নভাবে (টার্গেটভূক্ত গ্রামের বাইরেও) যেকোন দরিদ্র পরিবারকে আত্মনির্ভর করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
৯। উপরোক্ত কৌশলগুলি বাস্তবায়নে সংস্থার নিজস্ব সম্পদ কাজে লাগাতে হবে।
৯। ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ না করে পাশাপাশি পরিবারগুলিতে কাজ করা। একই মিশন নিয়ে কাজ করা অন্যান্য সংগঠনগুলির ( দেশী-বিদেশী) সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা।
১০। যাবতীয় সহযোগিতামূলক সুবিধাদি যথা সময়ে নিশ্চিত করা।
আগামীনিউজ/ড্যানি