Dr. Neem on Daraz
Victory Day

ইসলামের আগে ও ইসলামের পরে


আগামী নিউজ | ড. নিম হাকিম প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৫, ১২:০২ পিএম
ইসলামের আগে ও  ইসলামের পরে

আগের যুগকে বলা হয় জাহেলিয়াতের যুগ 
আর পরে যুগ কে তো ইসলামের যুগই বলা হয়   

জাহেলিয়াতের যুগের অর্থ হলো অজ্ঞতার যুগ বা অন্ধকারের যুগ  

খেয়াল করুন  

ইসলাম কে তাই যুগে যুগে অজ্ঞতা বা অন্ধকারের অপোজিট ফোর্স হিসেবে দেখা হয়  

অর্থাৎ ইসলাম যেন জ্ঞান এবং আলোর এক সমর্থক প্রতিশব্দ! 

বিষয়টা মুখে মুখে হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়  

খোদ কুরআনেই এরকমটা ক্লেইম করে  

যেমন সূরা আহযাবে আল্লাহ বলেন  

"তোমরা অন্ধকার যুগের মত নিজেদের সৌন্দর্য দেখিয়ে বেড়িয়ো না! [৩৩:৩৩] 

কিংবা 

সূরা মায়িদাতে বলেন  

"তবে কি তারা আবার অন্ধকার যুগের বিধি-বিধান কামনা করে?" [৫:৫০]

অর্থাৎ 

তোমার এখন আলোর যুগে আছো আবার কেন অন্ধকারে যুগে ফিরে যাবে?

এই ভাবনাটার কারণ কি? 

কারণ হলো তখন আরবরা জ্ঞান বিজ্ঞান ছাড়া 

নিছক ভিত্তিহীন, অলীক, অনুমান, কল্পনা, ধারণা ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনার ভিত্তিতে জীবন পরিচালিত করতো! 

ইসলাম এসে তাদেরকে সেই মূর্খতা আর কুসংস্কার থেকে উদ্ধার করে! 

ইসলাম এসে তাদের লার্নিং কেপাসিটি বাড়িয়ে দেয়  

তারা পড়তে শুরু করে জানতে শুরু করে নতুন নতুন গবেষণা করা শুরু করে!  

কারণ ইসলাম তো কেবল আখিরাতের আলো দিশারী হয়ে আসেনি এসেছিল দুনিয়ার প্রতিটা এরিয়াতে আলো ছড়াতে 

কুরআন পড়লে দেখবেন 

হাজরাত জুলকারনাইনের কেস স্টাডি দিয়ে স্রষ্টা জানিয়েছেন যে  

লিডারশিপের্ পাশাপাশি টেকনিক্যাল স্কিল ইমোর্টেন্ট 

সিভিল আর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর টেকনিক দেখিয়ে বুঝিয়েছেন যে  

কীভাবে জ্ঞানের ভিত্তিতে শক্তিশালী এক গোত্রকে রুখে দেয়া যায়   

হজরত দাউদ আ এর কেস স্টাডি দিয়ে জানিয়েছেন  

লো এন্ড অর্ডার এর পাশাপাশি ডিফেন্স টেকনোলজিতে ইম্পরভমেন্টে আন্তে হবে 

লোহা গলিয়ে আর্মার বানিয়ে কি করে ডিফেন্স ইম্পরভে করা যায় সেটা শিখিয়েছেন নিজ হাতে  

সূরা নামল পড়লে জানা যায় যে 

 জাস্ট গানের ভিতিত্তে এক ব্যক্তি চোখের পলকে ট্রাভেল করছে, জীনেরাও তার সাতে পেরে উঠতে পারে না   

তাছাড়া হজরত মুসার স্টোরি থেকে জানতে পারি যে 

লার্নিংয়ের কোনো স্টেজ নেই কোনো বয়স নেই 

লার্নিংয়ের জন্য জন্য বহু দূর পারি দেয়া যায় যদি সঠিক মেন্টর পাওয়া যায়    

আরো জানতে পারি যে  

ফেরেস্তারা পোর্টাল ব্যবহার করে ইন্টার গেলাকটিক ট্র্যাভেল করে

জানতে পারি যে আমাদেরকে বুক কিপিং নলেজ রাখতে হবে

জানতে পারি যে আমাদেরকে মেথমেটিক্স এ ভালো হতে কারণ ইনহেরিটেন্স ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে  

এম্ব্রয়লোজির আয়াতগুলো পরে জানতে পারি কিভাবে ইন্টারনাল অর্গান ফাংশন করে   

বৃষ্টির যাবৎ গুলো পড়ে জানতে পারি কি করে ওয়াটার সাইকেল ফাংশন করে   

এই আয়াত গুলো চিন্তার নতুন দুয়ার খুলে দেয়  

যেমনটা দিয়েছিলো ইবনে সিনা আল খাওয়ারিজমী আল রাজি আল বিরুনী কিংবা আল ফারাবীর মতো বিশ্ব কাঁপানো সিয়েন্টিস্টসদেড়  

তাহলে প্রশ্ন আসে না কি করে এই লার্নিং বন্ধ হয়ে গেলো?

কেন আমরা এখন শুধু আখিরাত নিয়েই পরে আছি? 

কি এমন ফান্ডামেন্টাল চেঞ্জ আসলো 

আমরাই তো সর্ব প্রথম নেভিগেশন সিস্টেম আবিষ্কার করি 

তাহলে আমাদেরকেই কেন আবার অন্যদের কাছ রাডার হিসেবে কিনতে যাবো 

আমাদেরকেই তো স্পেস এক্সপ্লোরেশনের কথা বলা হয়েছে  

তাহলে আমরা কেন রকেট পাঠাতে অন্যের দারস্ত হবো 

যেখানে আমাদেরকে ডিফেন্স মেকানিজম এর ইন্সপিরেশন দেয়া হয়েছে 

সেখানে আমরা কেন তৈরি করতে পারলাম না নিজেদের আইরন ডোম 

আমাদের তো অর্থের অভাব নেই! 

আমাদের তো আইকিউ এর অভাব নেই! 

কেন গড়ে তুলতে পারছি না নিজস্ব রিসার্চ সেন্টার? 

কেন গড়ে তুলতে পারছি না নিজেদের এম আই টি? 

উত্তর আছে 

আগে লিখেছি [কমেন্টে দেয়া আছে]

তবে আজ ভিন্ন ভাবে বলছি 

আজ আর অন্যের কাঁধে দোষ চাপাতে ইচ্ছে করছে না 

নিজেদেরকেই কিছু বলতে ইচ্ছে করছে 

কারণ কিছুটা দায়ভার নিজেদেরকেও নিতে হবে 

আজ যারা নিজেদের জ্ঞানের দিশারী হিসেবে ক্লেইম করছেন 

তাদের বলছি 

নিজেদের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে অন্যান্য ফিল্ডে একটু ইনভেস্ট করুন  

নতুন নতুন সেক্টর লার্ন করুন এক্সপ্লোর করুন  

ঠান্ডা মাথায় ভাবুন  

কি করে এই কোরানের ডিভাইন আলো কে অন্যান্য সেক্টরে ইমপ্লিমেন্ট করা যায়!

"আপনিই ঠিক, বাকিরা ভুল!"  এই ভাবনা থেকে বের হন

কারণ আদম আ আর ইবলিশের মধ্যে ফান্ডামেন্টাল ডিফারেন্স কি ছিল জানেন?   

একজন ভাবতো আমি বেটার আরেকজন অকপটে শিকার করতো আমি ভুল 

তবে যেই জিনিসটা আদম আ কে সবার থেকে এগিয়ে রেখেছিলো এমনকি ফেরেস্তাদের থেকেও 

তা কি ছিল জানেন? 

তা ছিল তার লার্নিং কেপাসিটি! 

এই লার্নিং কেপাসিটি দিয়েই কম্পিটিশনেই সবাকে হারিয়েছিলেন 

তার এই ঘটনা প্রমাণ ওরে যে

একজন মুসলিম কখনো জাহিল হতে পারে না 

কারণ ওই যে প্রথমেই বলেছি 

ইসলাম মানেই আলো ইসলাম মানেই জ্ঞান 

অর্থাৎ একজন মুসলিমকে সব সময় একটা কন্টিনিয়াস লার্নিং কার্ভে থাকতে হবে!

সব সময় নতুন বিষয় এক্সপ্লোর করতে হবে নতুন নতুন সলিউশন নিয়ে আসতে হবে

বিষয়টা যত তাড়াতাড়ি আবার মাথায় গেঁথে ফেলতে পারবো ততই মঙ্গল!

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে