Dr. Neem on Daraz
Victory Day

পর্যটন ছাড়া উন্নয়ন তিরোহিত


আগামী নিউজ প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
পর্যটন ছাড়া উন্নয়ন তিরোহিত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন তিনি একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাবেন। প্রশ্ন হলো এই কম সময়ে তা কি সম্ভব? ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতি যেভাবে মরণদশায় পতিত হয়েছে তা থেকে উদ্ধার করে সুস্থ সবল করা তাও আবার চাপের মধ্যে থেকে অনেকটা যে চ্যালেঞ্জ সাপেক্ষ তা মানতেই হবে। কেন না বহুজন মিলে একটি দেশের অর্থনীতিকে দীর্ঘদিন ধরে খাবলালে তার অস্থিত্ব কি আর ঠিক থাকে। তারপরও উনার অভিজ্ঞতা, ব্যক্তি ক্যারিশমা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গ্রহণযোগ্যতাকে কাজি লাগিয়ে তা হয়তো তিনি করেও যেতে পারেন। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় এতেই কি আমাদের মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে?

কেন না আমাদের মত অত্যন্ত জনবহুল ও সমস্যা জর্জরিত তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের জন্য শুধু অর্থনীতিতে চমক নিয়ে আসাই যথেষ্ট নয়। এরপরও রয়ে যাবে এটি টিকিয়ে রাখার ঝুঁকি এবং তা বাস্তবতা। তারপর আসবে কর্মসংস্থান, দারিদ্রতা দূরীকরন, বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুরক্ষা, পরিবেশ রক্ষা এবং সর্বশেষ টেকসই উন্নয়নের মত বিষয়গুলো। তাই এবার প্রশ্ন হলো এগুলোর জন্য কি এমন কোন ব্যবস্থা আছে যা স্থায়ীভাবে সমাধানের পথে হাটার সুযোগ করে দিতে পারে?

হ্যাঁ, অবশ্যই আছে এবং গোটা দুনিয়া সেই পথেই হাটছে। শুধু বাংলাদেশের মত একটি অভাগা দেশ ব্যাতিরেকে। আর তা হচ্ছে পর্যটন চর্চা এবং পর্যটন উন্নয়ন। কেন না এই পর্যটনই পারে এসব ক্রনিক ডিজিজ তথা জটিল রোগের এক সংমিশ্রনকে দূর করার জন্য এন্টিবায়োটি ট্রিটমেন্ট বা শক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। তাই বিশ্বজনিনভাবে এই জটিল রোগ নিরাময়ে যখন জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আই এম এফসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দাওয়াই খুঁজতে লাগলো তখন এই পর্যটনকেই প্রথম এবং প্রধান হিসেবে পেয়ে গেলো।

যেজন্য প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গৃহীত “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল” বা এম ডি জি এই পর্যটনকেই সামনে রাখলো। আমরাও তখন বেশ নাচানাচি করলাম কিন্তু এই পর্যন্ততই অর্থনৈতিক রাজনীতি শেষ। তারপর আসলো দারিদ্রদূরীকরণে “পোভারটি রিডাকশন স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান” বা পি আর এস পি। এখানেও পর্যটন শীর্ষে এবং আমরাও কিছুদিনের জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলাম। তারপর কয়কেদিন লাফালাফি করে শান্ত হয়ে গেলাম। কিন্তু গোটা বিশ্ব ঠিকই এগুলো থেকে ফায়দা পেয়ে গেলো। তাই, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ২০১৬-২০৩০ মেয়াদের জন্য নিয়ে আসা হলো “সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস” বা এস ডি জি।

এই এসডিজি’র যে সতেরোটি গোল বা লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তার চারটি সরাসরি পর্যটনকে ঘিরে। শুধু তাই নয় পর্যটনের বিশ্ব মুরুব্বী “জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা” বা ইউ এন ডাবলু টি ও তাদের গবেষণা দিয়ে দেখিয়েছে কিভাবে এই সতেরোটি গোলের সব কয়টির সাথে পর্যটন জড়িয়ে আছে। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের লাফালাফিও তখন কয়েকগুণ বেড়ে গেলো। আমলাদের দিয়ে কমিটির পর কমিটি আর সেমিনারের পর সেমিনার চললো দেদারছে। এভাবে বেশকিছু দিন চলার পর সেই ব্যস্ততার উত্তাপও ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসলো। অন্যদিকে মিঃ ট্যুরিজম যেখানে ছিলেন সেখানেই চিৎপটাং হয়ে পড়ে রইলেন।

অথচ এই এস ডি জি’র লক্ষ্যমাত্রাগুলোকে সামনে রেখে টেকসই পর্যটন উন্নয়নের জন্য লোক দেখানো নয় সত্যিকার পরিকল্পনা মাফিক এগুনো গেলে এতদিনে আমাদের পর্যটন যেমনি উন্নয়নের পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো তেমনি দেশের টেকসই উন্নয়নও একটা পর্যায়ে পৌঁছে যেতো। কিন্তু তা আমরা করতে শুধু ব্যর্থই হইনি উপরন্তু দেশ ও জাতিকে স্বাভাবিক উন্নয়নের ধারা থেকে পিছিয়ে দিয়েছি। এতে হয়তো চতুরতার সাথে দায়ভাগ আড়াল করা গেছে কিন্তু তার সাথে আত্মপ্রবঞ্চক জাতি হিসেবেও পরিচিতি এসেছে।

কেন না বিশ্বাস এবং কর্মকে আমরা এক করতে পারিনা। যেজন্য যা বলি তা করিনা, এতে দিন শেষে এগুতে পারিনা। নাহয় দেশ স্বাধীনের পর যে পর্যটন তার যাত্রা শুরু করলো সে আজ অবধি কেনো উন্নয়নের ধারায় আসতে পারছেনা। অথচ সব সুযোগ আমাদের ছিল এবং আছে। কেন না পর্যটন উন্নয়নের জন্য যে মৌলিক উপাদানগুলো দরকার অর্থাৎ পর্যটন সম্পদ এবং মানব সম্পদ এই দুটোই আমাদের রয়েছে পর্যাপ্ত। কারণ, প্রকৃতি আমাদের দিয়েছে অপার এবং তার সাথে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

বলা হয় যে দেশের পর্যটন যত উন্নত সে দেশ তত উন্নত। এজন্য উন্নত দেশগুলোর জন্য পর্যটন উন্নয়নের কোন দরকার হয়না। কেন না উন্নয়ন কখনো পরিপূর্ণতা পায়না পর্যটনের উন্নয়ন ছাড়া। অর্থাৎ পর্যটন এবং উন্নয়ন একে অন্যের পরিপূরক। অথচ আমরা উন্নয়নের গল্প শুনাই পর্যটনকে আমলে না নিয়ে এবং অবহেলায় রেখে। এর চেয়ে বড় তামাশা আর কি হতে পারে। ভাবতে অবাক লাগে এই দেশের রাজনৈতিক সরকার, প্রশাসনিক সরকার, বেসরকারি খাত, অর্থনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ এমনকি সমাজ চিন্তক কারো যেনো এ নিয়ে সঠিক ও সুনির্দিষ্ট কোন ভাবনা নেই। নেই সত্যিকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, আছে শুধু স্বপ্ন দেখানো আর অলীক কল্পনা। এতে চমক আছে বটে কিন্তু নেই বাস্তবতার ছুঁয়া।

থাকবে কি করে যদি সরকারের আন্তরিকতা না থাকে, প্রশাসনের দায়বদ্ধতা না থাকে, স্টেকহোল্ডার বা দায়কগোষ্ঠীর একাগ্রতা না থাকে, অর্থনীতিবিদ আর পরিকল্পনাবিদদের দূরদৃষ্টিতা না থাকে এবং সমাজ চিন্তকদের স্বাধীন চিন্তার ক্ষমতা না থাকে। এদের প্রত্যেকেই নিজে দেশমাতৃকার কাছে যেমনি প্রবঞ্চক তেমনি নিজের বিবেকের কাছেও প্রতারক। এরা কেউই নিজের বুকে হাত রেখে বলতে পারবেনা পর্যটন উন্নয়নের জন্য তাদের যা করণীয় ছিল তা তারা করেছেন। এমনকি ন্যুনতম স্বদিচ্ছা এবং এর প্রয়োগটুকু অন্তত দেখাতে পেরেছেন।

উল্টো, পর্যটনের মত একটি উদার, নিষ্কলুষ, বিস্তৃত ও বহুমাত্রিক এবং অতি সম্ভাবনাময় শিল্পের জন্য নিয়ে এসেছেন অপবাদ, ব্যর্থতা এবং কলঙ্ক। তা নাহলে কেন সম্ভাবনাময় এই শিল্পটি বায়ান্ন বছর পরও তার স্বাভাবিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত? কেন একটা কিছু ঘটলেই পর্যটনকে খামাখা দুর্নামের ভাগিদার হতে হবে? কেন নিজে খেয়েপরে বাঁচার সামর্থ না থাকা তথা ন্যুনতম অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত দুই মেয়াদে অন্তত পাঁচ জন পর্যটন মন্ত্রীকে হাজত বাস করতে হলো? এগুলো হাজার কোটি টাকার প্রশ্ন কিন্তু কেউ কোন উত্তর দেবেনা। দেয়ার মত যোগ্যতা এবং সাহসও কারো নেই।

কেন না সরকার এসে মন্ত্রণালয় এবং মন্রী বানিয়েছে; সচিব বসিয়েছে; পর্যটন নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়িয়েছে; এক সরকার এসে আগের সরকারের সবকিছু বুড়ি গঙ্গায় ফেলে দিয়ে তার মত করে নতুন কিছু করেছে, পর্যটন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা নষ্ট করেছে; বিদেশে গিয়ে অন্য দেশের সাথে পর্যটন বিষয়ে লোকদেখানো অসংখ্য সমঝোতা স্নারক স্বাক্ষর করেছে বটে কিন্তু এগুলোর একটিও কাজে লাগায়নি; নীতিমালা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেনি; কোন পরিকল্পনা দিতে পারেনি; আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি; শুধু মুখে বললেও কার্যত বেসরকারি খাতকে অংশীজন বানিয়ে কাজে লাগায়নি এবং আন্তরিকতার ন্যুনতম কোন প্রকাশ দেখাতে পারেনি।

প্রশাসনিক সরকার তথা আমলাতন্ত্র তাদের পদ-পদবি পেয়েছে; সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে; দেশ-বিদেশ ঘুরে নিজে পর্যটক হয়েছে; অন্যদের পর্যটনের ধারেকাছে আসতে না দিয়ে শুধুই নিজেদের আয়ত্তে রেখেছে; পর্যটনকে পর্যটনের মত চলতে না দিয়ে নিজেদের ইচ্ছা মাফিক চালিয়েছে; বেসরকারি খাতকে বৃটিশ ধাঁচে “ডিভাইড এন্ড রুল” পদ্ধতিতে ভাগ করে রেখেছে; বেসরকারি খাতকে সত্যিকার অংশীজন হতে না দিয়ে তেলবাজ বানিয়ে রেখেছে; সরকারের অজ্ঞতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যা খুশি তা বুঝিয়ে দাপুটে হয়ে চলেছে এবং নিজেদের স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থের জন্য পর্যটনের স্বাভাবিক বিকাশকে রূদ্ধ করে রেখেছে।

বেসরকারি খাত কখনো এই শিল্পে তাদের নিজেদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেনি এমনকি জানার চেষ্টাও করেনি; নিজেদের অধিকার বিষয়েও জ্ঞাত হওয়ার চেষ্টা করেনি; সার্বিক পর্যটন নিয়ে না ভেবে শুধু নিজেদের ট্রেড বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে; যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব গড়তে পারেনি; পর্যটনের অন্যান্য খাতের সাথে সখ্যতায় না গিয়ে সরকার এবং প্রশাসনের তেজবাজিতেই সময় দিয়েছে; কি ঘরে কি বাইরে কোথাও নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়তে পারেনি; ঐক্যের অভাবে কখনো পর্যটন তথা জাতীয় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি এবং ব্যাপক ও বিস্তৃত পর্যটনের নির্যাসটুকু নিজেও নিতে পারেনি অন্যকেও দিতে পারেনি।

এরপরও দেশের অর্থনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ, চিন্তক, গবেষক এবং নীতি নির্ধারকরা কেন জানি পর্যটন কি, এর শক্তিমত্তা কতটুকু এবং কিভাবে এর থেকে লাভবান হওয়া যায় তা হয়তো তারা বুঝেতেই পারেনি কিংবা বুঝার চেষ্টাও করেনি। যেজন্য পর্যটন নিয়ে তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। নাহয় পর্যটনের অন্তত এই দশা হতোনা। এতেকরে সরকার রয়েছে অন্ধকারে এবং পর্যটন থেকে দূরে। তা নাহলে পর্যটন উন্নয়নের পূর্বশর্ত সরকার প্রধানের নেতৃত্ব অথবা পৃষ্টপোষকতা অনুপস্থিত থাকতোনা। এমন কি প্রধানমন্রীর নেতৃত্বে পর্যটনের সর্বোচ্চ যে একটি কাউন্সিল রয়েছে তা বায়ান্ন বছরে মাত্র তিনটি দায়সারা সভায় মিলিত হতোনা। এমন কি পর্যটনের একমাত্র অংশীদার যে বেসরকারি খাত তারাও এই কাউন্সিলে তাদের প্রতিনিধিত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতোনা।

এসবের ফলশ্রুতিতে এই বায়ান্ন বছরে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মাত্র দুটি পর্যটন নীতিমালা এসেছে। তাও আবার বাস্তবায়নের উদ্যোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একইভাবে পর্যটন উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একেবারেই মৌলিক বিষয়গুলো যেমন সতন্ত্র ও শক্তিশালী মন্ত্রণালয়, কার্যকর প্রশাসনিক কাঠামো, পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, বাজেট বরাদ্দ, আইন প্রণয়ন, পর্যটন সম্পদ চিহ্নিতকরণ, শিল্প সহায়ক সুবিধা নিশ্চিতকরণ, পর্যটন পণ্য উন্নয়ন ও সংরক্ষণ, পর্যটন সেবার মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ, বিপণন ও প্রচার, তথ্য ও পরিসংখ্যান, গবেষণা, অবদানের স্বীকৃতি ইত্যাদি কিছুরই কোন সুরাহা হয়নি।

যদি হয়েও যেতো তাহলে কি হতো? আর কিছু নাহোক অন্তত এখনকার মত অবস্থা থাকতোনা। টেকসই পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে দেশও টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতো। কেন না পর্যটন উন্নয়ন মানেই সার্বিক উন্নয়ন। তাই উন্নয়নের পরিপূর্ণতা পর্যটন ছাড়া সম্ভবইনা। ধরা যাক, একটি এলাকার উন্নয়ন করা হলো। এজন্য অবকাঠামো যেমন রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল ইত্যাদি সব নাগরিক সুবিধা সৃষ্টি করা হলো। কিন্তু বাইরে থেকে লোকজন আসলে থাকার ব্যবস্থা নেই, খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই, বিনোদনের ব্যবস্থা নেই এমনকি জীবন মানের উন্নতিসহ এলাকাটির তেমন কোন পরিচিতিও নেই। সেক্ষেত্রে উন্নয়নের কি কোনো মূল্য থাকলো। অথচ পর্যটন উন্নয়ন মানেই এসব সুযোগ-সুবিধাসহ সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হওয়া। অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন পরিপূর্ণতা পাওয়া।

অতএব, যে উন্নয়ন সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নের নিশ্চয়তার পাশাপাশি জিডিপি-তে প্রবৃদ্ধি বাড়ায়; বিশ্বের মোট কর্মসংস্থানের দশ ভাগ নিজ দখলে থাকার সুবাদে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্থায়ী চাকুরীর পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকুরী এবং বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করে; সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকায় দারিদ্রতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায় এবং ধনী-দরিদ্রের মধ্যেকার বৈষম্য কমে; স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে বাইরে থেকে আসা মানুষ তথা পর্যটকদের মেলামেশার ফলে নিরাপত্তা ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং সংস্কৃতি চর্চা ও ধর্ম চর্চা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড অবারিল হয়; পর্যটকদের প্রয়োজনেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, স্বাস্থ্য সেবা এবং পরিবেশ রক্ষার মত বিষয়গুলো অবশ্য পালনীয়ের মধ্যে চলে আসে সেই উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোন উন্নয়ন ভাবনা অনেকটা অন্ধকারে কালো বিড়াল খুঁজা। তাই বলা যায়, গোটা বিশ্বের ন্যায় আমাদেরও সামগ্রীক উন্নয়ন এই টেকসই পর্যটন উন্নয়ন ছাড়া পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবেনা এবং তা তিরোহিত।

--------------------------------------------------------------------+

জামিউল আহমেদ, চেয়ারম্যানঃ সেন্টার ফর ট্যুরিজম স্টাডিজ (সিটিএস)।

ই-মেইল: zamiulahmed54@gmail.com

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে