অশনিসংকেত লক্ষ্য করা যাচ্ছে গত দুমাসে। পাহাড়ে নানা অজুহাতে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ,জন অপাক্রমনে অন্যায় ভাবে হত্যা, লুটপাট,চাঁদাবাজী, সমতলে বেতন ভাতা, প্রমোশন, নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়ায় অসুস্থিতে ফেলছে সরকারকে। যারা রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারনে বিগত পনের বছরে মেধা আর যোগ্যতা থাকতেও চাকুরী থেকে বঞ্চিত হয়ে বয়স পার হয়ে গেছে তারাতো চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি চাইতেই পারে।অনেক গার্মেন্টস মালিক কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে কিন্তু শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি। ন্যায্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তা। মোটকথা এই সরকারের ঘাড়ে চেপেছে গত পনের বছরের অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, অনিয়ম আর পতিত সরকারের রেখে যাওয়া পাহাড়সম বিদেশি ঋন আর আবর্জনার বোঝা। বঞ্চিতরা তাদের ন্যায্য দাবী দাওয়া আদায়ে যেমন ততৎপর অপশক্তি সেই সুযোগে সরকারকে বেকায়দায় ফেলাতে আরও বেশি অপতৎপর। বঞ্চিতরা ভাবছে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে তাদের দাবি দাওয়া নাও পুরণ হতে পারে কারণ রাজনৈতিক সরকার নিজেদের রাজনৈতিক সার্থের বাইরে কিছুই করেনা যা গত ৫২ বছরে প্রত্যক্ষ করা গেছে। তাই এই সরকারের কাছে জাতির অনেক আশা। অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত ক্ষমতায় আসার পঁয়তারা। সবকিছু মিলে মনে হচ্ছে এই সরকার ভীষণ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছে।
যাদের দাবী দাওয়া আদায়ে আর রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় যাওয়ার তাড়াহুড়ার সুযোগে পতিত সরকার বা কোন অপশক্তি যদি কোন ভাবে ক্ষমতা দখল করে ফেলে তা হলে আম ও যাবে ছালাও যাবে।তাই আমাদের উচিৎ হবে অন্তর্বর্তী সরকারেরকে সংস্কারের জন্য যুক্তিযুক্ত সময় দিয়ে তাদের সহযোগিতা দেয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে সকল অপতৎপরতা রুখে দেয়া।