রাজবাড়ীঃ সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেনীনগর গ্রামে ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হয়েছেন শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক। ক্যাপসিকাপ বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছেন। সামনে আরো লাভবানের আশা তার।
জানা গেছে যখন তিনি এই ক্যাপসিকাপ চাষ শুরু করেন। তখন বাংলাদেশের দেশের মধ্যে মাত্র ৩জন চাষি এই সবজি চাষ করতো। বর্তমানে চাষিরা লাভবান হওয়ায় অন্য কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে ক্যাপসিকাপ চাষে।
চাষি শহিদুল ইসলাম আগামী নিউজকে বলেন, আমি প্রথমে অল্প কিছু জমিতে এই ক্যাপসিকাম চাষ করি। এই ফসল থেকে লাভবান হলে পরে চাষের জমি বাড়াতে থাকি। এখন আমি ৪ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাপ চাষ করি। ক্যাপসিকাম চাষ করতে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আর বছরে বিক্রি করা যাবে ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। দেশে এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। দাম ও ভালো পাওয়া যায়। মৌসুম আকারে এর দাম হয় ১০০টাকা থেকে ৫০০টা পর্যন্ত হয়।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম আগামী নিউজকে বলেন, ক্যাপসিকাম চাষ আমরা জানতাম এটা বাইরের দেশে চাষ হয়। কিন্তু এখন আমরা দেখছি রাজবাড়ীর একজন উদ্যেক্তা এই সবজি চাষ করছে এবং ১৬টা জেলায় এখান থেকে এই সবজিটা যাচ্ছে। এতে করে পরবর্তী প্রজম্মের মানুষকে কৃষিতে এগিয়ে আসতে উৎসাহী করবে। আমাদের প্রচলিত যে কৃষিগুলো আছে তার সাথে যদি আমরা নতুন কিছু চাষ করি তাহলে কৃষি আরো সমৃদ্ধিশালী হবে।
উল্লেখ্য, ক্যাপসিকাম সারা বিশ্বেই একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের দেশীয় প্রচলিত সবজি না হলেও ইদানিং এর চাষ প্রসারিত হচ্ছে। কৃষকেরা এর চাষ করে থাকেন, যা অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হয়ে থাকে।
আগামীনিউজ/এএস