যশোরঃ জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ২ নং ওয়ার্ড নামাজগ্রামের বাসিন্দা তোতা মোড়ল। তার বর্তমান বয়স ৮১ বছর। অথচ তার ছেলে মোঃ আইয়ুব আলীর বয়স কিনা ১০২ বছর। বাবার চেয়ে ছেলে ২১ বছরের বড়। তারপরও পিতার নাম তোতা মোড়লের স্থলে আব্দুর সামাদ মোড়ল লেখা হয়েছে। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। তার প্রকৃত বয়স ১৯৫৯ সালের ১০ ডিসেম্বর।
আইয়ুব আলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বলছে, তার জন্ম ১৯১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। আর তার পিতা তোতা মোড়লের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তার জন্ম ১৯৪০ সালের ৩ ডিসেম্বর। গড় হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, বাবার ২১ বছর আগে ছেলের জন্ম হয়েছে।
মোঃ আইয়ুব আলীর বর্তমান বয়স ৬২ বছর। ভোটার কার্ড অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১০ ডিসেম্বর ১৯১৯ সাল। সে অনুযায়ি তিনি বর্তমানে ১০১ বছর বয়সের একজন খুনখুনে বৃদ্ধ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তিনি ৬২ বছর বয়সের একজন তরতাজা যুবক। ভোটার কার্ড অনুযায়ী ১০১ বছর বয়স হওয়া স্বত্তেও তিনি পাননি কোন সুযোগ সুবিধা। পাননি বয়স্ক ভাতার কোন কার্ডও। এমনকি কোন বাড়তি সুবিধা। বরঞ্চ পদে পদে তাকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার। নিজের নাগরিক অধিকার পাসপোর্ট করতেও তিনি আজ ব্যর্থ। একদিকে বয়স অন্যদিকে পিতার নাম ভুল থাকায় কিছুই করতে পারেনি আইয়ুব আলী। এ দায়ভার কার ?
জাতীয় পরিচয়পত্রের এমন বিভ্রান্তিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘আমার ভোটার আইডিতে জন্মতারিখ বাবার বয়সের থেকে অনেক বেশি হয়ে গেছে। তারপরও আমার বাবার নামও ভুল। জানি না কীভাবে এমনটা হলো। এখন তো এ নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছি। এ আইডি দিয়ে তো কোনো কাজ করতে পারছি না। সংশোধনের জন্য কয়েক বার শার্শা নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা কিছুই করেনি। পরে আসেন বলে এড়িয়ে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে শার্শা উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মেহেদী জানান, ২০০৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন তাদের তথ্যগত ক্রটির কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। আইয়ুব আলী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের এখানে কোন আবেদন করেননি। সংশোধনের আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।