ঢাকা: প্রথম ম্যাচ হারার পর ভাবার সময় পাচ্ছে না বাংলাদেশ। শনিবারই (২৫ জানুয়ারি) তাদের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে মাঠে নামতে হচ্ছে। এই ম্যাচটিও লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যথারীতি একই সময়ে অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়। প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে বাংলাদেশ কি সিরিজে টিকে থাকতে পারবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
প্রথম ম্যাচে ডট বল খেলা নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। তারপরও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দায় এড়াতে পারেন না। ওপেনিং জুটিতে রান উঠেছে মন্থর গতিতে। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ তো মেরে খেলে সেটা সচল করতে পারলেন না। তামিম-নাঈমের ওপেনিং জুটি তুলে দিয়েছিল ৭১ রান। এই রান তুলতে তারা খেলে ফেলেছিলেন ৬৬ বল। যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে ঠিক যায় না। পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এর খেসারত দিয়ে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে।
১২০ বলের খেলায় বাংলাদেশ ডট বল দিয়েছে মোট ৪৫টি। এতগুলো ডট বল না দিলে রানটা ১৬০-এর বেশি হয়ে যেত। তখন ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততেও পারত। তবুও হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের দায়ী করছেন না মাহমুদউল্লাহ। তিনি বরং তামিম-নাঈমদের আগলে রাখছেন,‘ আমরা পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এটা ঠিকই ছিল। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন বল ধীরে ধীরে পুরোনো হচ্ছিল, পিচ একটু অন্য রকম আচরণ করছিল। এটা পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। আমার মনে হয় আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে গেছি। ১০–১৫টা রান এখানে কম হয়েছে। আমি যদি আরেকটু ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম…।’
প্রথম ম্যাচে বাজে ফিল্ডিং হয়েছে। এ নিয়ে খানিকটা বিরক্ত অধিনায়ক,‘ ১৪০ (১৪১) করেও যে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে পেরেছি, এটা বোলারদের চেষ্টার কারণে। বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায় যেমন-লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার দিয়ে ফেলেছি। এখানে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফিল্ডিংটা যদি একটু ভালো হতো, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত।’
প্রথম ম্যাচে হারের কথা ভেবে এখন আর কোনো লাভ নেই। কারণ আজই আবার বাংলাদেশকে নামতে হচ্ছে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে। এই ম্যাচ জিতলেই কেবল সিরিজে টিকে থাকবে বাংলাদেশ। হেরে গেলে সোমবার তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি হবে নিছক আনুষ্ঠানিকতার। মাহমুদউল্লাহও তাই বলছেন,‘ পরের ম্যাচে আমাদের ফিরে আসতে হবে।’
আগামীনিউজ/আরবি/এমআর