বহুল আলোচিত পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ময়দানি লড়াইয়ে নেমে পড়বে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায়।
অনেক নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। এই সিরিজকে ঘিরে গোটা লাহোরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছে পাকিস্তান।
২০০৯ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছিল শ্রীলঙ্কার টিম বাস। তারপর দীর্ঘসময় পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। অনেক চেষ্টা-তদবির করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান সফর গেছে শ্রীলঙ্কা। তারপর দ্বিতীয় দল হিসেবে গিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ভারতের মাটিতে। সেখানে প্রথম ম্যাচেই দিল্লিতে জিতেছিল মাহমুদউল্লাহর দল। তবে ওই ম্যাচে জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম পাকিস্তান সফরে নেই। পাকিস্তান শেষ দশ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আটটিতেই হেরেছে। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলটি বাংলাদেশের বিপক্ষে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে যাচ্ছে। দলে এমন চারজন আছেন যাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকই হয়নি। দলে ডাক পাননি অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমির এবং ওয়াহাব রিয়াজ।
গত অক্টোবর অবধি সব ঠিক ছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সব ওলট-পালট হয়ে যায় পাকিস্তানের। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় সরফরাজ আহমেদের দল। এই ধাক্কায় তার অধিনায়কত্বও চলে যায়। নতুন অধিনায়ক হন বাবর আজম। তিনিও ফল বদলাতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে।
পাকিস্তান বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুনভাবে শুরু করতে চাইছে। প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক সে কথাই জানিয়েছেন, ‘এই সিরিজে আমরা তরুণদের দেখতে চাই। দেখি ওরা কেমন করে। এরপর পিএসএল আছে। তারপর বুঝতে পারব আমরা কাকে নিয়ে এগোতে পারব।’
বাংলাদেশও এই সিরিজকে নিয়েছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে। এখানে যারা পারফর্ম করবেন তাদের ওপর আলাদা একটা চোখ থাকবেই। মাহমুদউল্লাহও নিরাপত্তা বলয় নিয়ে না চিন্তা করে এখন খেলার দিকেই মনোনিবেশ করেছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তার দলের ছেলেরা খেলতে মুখিয়ে রয়েছে। এখন শুধু মাঠে মহারণের অপেক্ষা।
আগামী নিউজ/আরবি/এসএম/এনএনআর