ঢাকাঃ শোনা যাচ্ছিল, টি-টোয়েন্টিতে আর কোচ থাকছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। তাকে ‘ছেঁটে’ এই ফরম্যাটে নাকি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকে। তবে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শ্রীরাম বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসছেন, তবে সেটি প্রধান কোচ হিসেবে নয়; তিনি কাজ করবেন টি-টোয়েন্টি দলের ‘টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট’ হিসেবে।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। পাপন বলেছেন, ‘শ্রীরামকে আমরা শর্ট লিস্ট করেছিলাম, সে ওই লিস্টে ছিল। আমাদের এখানে ২১ তারিখ (আগস্ট) দুপুরবেলা আসার কথা তার। দায়িত্ব ঠিক না, কোচ হিসেবে আসছে না; অবশ্যই হেড কোচ হিসেবে আসছে না। সে আসছে টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন পদ। সেই পদে শ্রীরামকে কেন বিবেচনা করা হলো? পাপনের যুক্তি, ‘কতগুলো বিবেচনায় তাকে আনা হয়েছে। যেহেতু আইপিএলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। আমরা এমন কাউকে চাচ্ছিলাম যার সঙ্গে টি-টোয়েন্টির সম্পৃক্ততা আছে, অভিজ্ঞতা আছে। আর যেহেতু খেলা অস্ট্রেলিয়ায়, সে অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দিন কাজ করেছে। এই দুটি কারণে তাকে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত নিয়েছি।’
যদিও গুঞ্জন ছিল, এশিয়া কাপ থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই ফরম্যাটে কোচের দায়িত্ব সামলাবেন শ্রীরাম। পাপনের বক্তব্যে তার দায়িত্ব পরিষ্কার হয়ে গেছে। তবে এশিয়া কাপে প্রধান কোচ হিসেবে কে থাকছেন, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। বিসিবি প্রধান নিজেও বিষয়টি ধোঁয়াশায় রাখলেন, ‘এটা আমরা এখনও ঠিক করিনি। ২২ তারিখ (আগস্ট) সবার সঙ্গে বসা হবে। বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। অনেক পরিবর্তনই আসবে।’
নতুন পরামর্শক হিসেবে আসা শ্রীরাম ভারতের হয়ে খেলেছেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনটা অবশ্য খুব বড় করতে পারেননি। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন মোটে ৮ ম্যাচ। যার সর্বশেষ ম্যাচটা আবার তিনি খেলেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শততম ওয়ানডেতে ঐতিহাসিক জয়ের দিনে তিনি ছিলেন ভারতের একাদশে। চারে নেমে তিনি খেলেছিলেন ৯১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। সেটাই হয়ে আছে তার ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস।
শ্রীরাম এরপর মনোযোগ দেন কোচিংয়ে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কোচিং স্টাফ ছিলেন তিনি। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ছয় বছর অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
শ্রীরামের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল টি-টোয়েন্টিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল দিয়ে। এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে বিসিবি। গুরুত্ব দিয়েছে, তার অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করার অভিজ্ঞতাকেও।
এমবুইউ