ঢাকাঃ লিওনেল মেসিকে বেঞ্চে রেখে আক্রমণে ভীষণ ভুগল আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে বদলি নেমে স্বল্প সময়ে তিনিও পারলেন না তেমন কোনো প্রভাব রাখতে। তবে ম্যাচের শুরুতেই আসল কাজটা সেরে রেখেছিলেন আনহেল দি মারিয়া। বাকি সময়ের প্রায় পুরোটা চাপ ধরে রাখলেও জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে। কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল লিওনেল স্কালোনির দল।
মন্তেভিদিওতে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে শুরু হওয়া বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। আগের দিন স্কালোনি জানান, চোট থেকে সেরে উঠে মেসি খেলতে প্রস্তুত। তবে সতর্কতার জন্যই কি-না, তাকে বাইরে রেখে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট বাকি থাকতে দলের সেরা তারকাকে বদলি নামান কোচ। তাতে অবশ্য দলটির পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি হয়নি। বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে সুবিধা করতে পারেনি তারা। তাদের সাত শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে মাত্র ৩৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখতে পারা উরুগুয়ে শট নেয় ১৯টি, যদিও এর মাত্র চারটিই ছিল লক্ষ্যে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার এটি অষ্টম জয়। সঙ্গে চার ড্রয়ে ১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। গত মাসেই গোছানো ও ছন্দময় ফুটবলে উরুগুয়েকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। ফিরতি দেখায় ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। তার আগেই অবশ্য গোল খেতে বসেছিল দলটি। ডি-বক্সে কয়েকবারের প্রচেষ্টায় বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। এরপর ছয় গজ বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের নাহিতান নানদেসকে অরক্ষিত রেখে সব ডিফেন্ডারের বলের দখল নিতে ছুটে যাওয়াটা ছিল আরও দৃষ্টিকটু। সেই সুযোগে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নেন উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার, সেটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এরপরই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে পাওলো দিবালার পাস ডি-বক্সে ধরে এক পলকে সামনে দেখে শট নেন পিএসজি মিডফিল্ডার। বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেয়। প্রথম ২০ মিনিট পর আর্জেন্টিনার খেলার গতি কমে যায়। সেই সুযোগে চাপ বাড়ায় উরুগুয়ে। ৩২তম মিনিটে দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে না দাঁড়ালে গোল পেতে পারতো তারা। লুইস সুয়ারেসের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও পোস্টে লেগে ফেরে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে উরুগুয়ে। অনেক সুযোগ তৈরি করে তারা; কিন্তু জালের দেখা মেলেনি। ৪২তম মিনিটে মাতিয়াস ভেসিনোর নিচু শট ভাঙতে পারেনি মার্তিনেস বাধা। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনার সীমানায় উরুগুয়ের হানা। এ যাত্রায় ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন হোয়াকিন পিকেরেস। উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ছাড়াই এগোতে থাকা ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে আলভারেস মার্তিনেসের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। দুই মিনিট পর সুয়ারেসের সোজাসুজি ভলি ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান মার্তিনেস। তবে বল তার পেছনে পায়ে বাধা পেলে হাফ ছেড়ে বাঁচে আর্জেন্টিনা শিবির। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট লক্ষ্যের ধারে কাছেও ছিল না। উরুগুয়েও আর পারেনি তেমন কিছু করতে। বিশ্বকাপের পথে আরেক ধাপ এগোনোর পাশাপাশি অপরাজিত পথচলাও ধরে রাখল দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ২৬ ম্যাচে অপরাজিত আছে স্কালোনির দল, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে। পরের রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় আগামী বুধবার ভোরে দেশের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে মেসিরা। কাতার বিশ্বকাপে খেলা এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে টিকেট পেয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনাও। মেসিদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে আছে ১৩ ম্যাচ খেলা একুয়েডর। সমান ম্যাচ খেলে যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে আছে চিলি, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। তাদের সবার পয়েন্ট ১৬। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ।লিওনেল মেসিকে বেঞ্চে রেখে আক্রমণে ভীষণ ভুগল আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে বদলি নেমে স্বল্প সময়ে তিনিও পারলেন না তেমন কোনো প্রভাব রাখতে। তবে ম্যাচের শুরুতেই আসল কাজটা সেরে রেখেছিলেন আনহেল দি মারিয়া। বাকি সময়ের প্রায় পুরোটা চাপ ধরে রাখলেও জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে। কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল লিওনেল স্কালোনির দল। মন্তেভিদিওতে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে শুরু হওয়া বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। আগের দিন স্কালোনি জানান, চোট থেকে সেরে উঠে মেসি খেলতে প্রস্তুত। তবে সতর্কতার জন্যই কি-না, তাকে বাইরে রেখে খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট বাকি থাকতে দলের সেরা তারকাকে বদলি নামান কোচ। তাতে অবশ্য দলটির পারফরম্যান্সে কোনো উন্নতি হয়নি। বল দখলে অনেক এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে সুবিধা করতে পারেনি তারা। তাদের সাত শটের তিনটি ছিল লক্ষ্যে। সেখানে মাত্র ৩৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রাখতে পারা উরুগুয়ে শট নেয় ১৯টি, যদিও এর মাত্র চারটিই ছিল লক্ষ্যে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার এটি অষ্টম জয়। সঙ্গে চার ড্রয়ে ১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। গত মাসেই গোছানো ও ছন্দময় ফুটবলে উরুগুয়েকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্জেন্টিনা।
ফিরতি দেখায় ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। তার আগেই অবশ্য গোল খেতে বসেছিল দলটি। ডি-বক্সে কয়েকবারের প্রচেষ্টায় বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। এরপর ছয় গজ বক্সের মুখে প্রতিপক্ষের নাহিতান নানদেসকে অরক্ষিত রেখে সব ডিফেন্ডারের বলের দখল নিতে ছুটে যাওয়াটা ছিল আরও দৃষ্টিকটু। সেই সুযোগে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নেন উরুগুয়ের এই মিডফিল্ডার, সেটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এরপরই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে পাওলো দিবালার পাস ডি-বক্সে ধরে এক পলকে সামনে দেখে শট নেন পিএসজি মিডফিল্ডার। বল দূরের পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেয়। প্রথম ২০ মিনিট পর আর্জেন্টিনার খেলার গতি কমে যায়। সেই সুযোগে চাপ বাড়ায় উরুগুয়ে। ৩২তম মিনিটে দুর্ভাগ্য বাধা হয়ে না দাঁড়ালে গোল পেতে পারতো তারা। লুইস সুয়ারেসের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও পোস্টে লেগে ফেরে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে উরুগুয়ে। অনেক সুযোগ তৈরি করে তারা; কিন্তু জালের দেখা মেলেনি। ৪২তম মিনিটে মাতিয়াস ভেসিনোর নিচু শট ভাঙতে পারেনি মার্তিনেস বাধা। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনার সীমানায় উরুগুয়ের হানা। এ যাত্রায় ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন হোয়াকিন পিকেরেস। উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ছাড়াই এগোতে থাকা ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে আলভারেস মার্তিনেসের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। দুই মিনিট পর সুয়ারেসের সোজাসুজি ভলি ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান মার্তিনেস। তবে বল তার পেছনে পায়ে বাধা পেলে হাফ ছেড়ে বাঁচে আর্জেন্টিনা শিবির। যোগ করা সময়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেসির শট লক্ষ্যের ধারে কাছেও ছিল না। উরুগুয়েও আর পারেনি তেমন কিছু করতে। বিশ্বকাপের পথে আরেক ধাপ এগোনোর পাশাপাশি অপরাজিত পথচলাও ধরে রাখল দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ২৬ ম্যাচে অপরাজিত আছে স্কালোনির দল, যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে। পরের রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় আগামী বুধবার ভোরে দেশের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে মেসিরা। কাতার বিশ্বকাপে খেলা এরইমধ্যে নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। এই ম্যাচে টিকেট পেয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনাও। মেসিদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে আছে ১৩ ম্যাচ খেলা একুয়েডর। সমান ম্যাচ খেলে যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে আছে চিলি, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। তাদের সবার পয়েন্ট ১৬। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ।
আগামীনিউজ/শরিফ