ঢাকা : ৩২২ রান স্কোরবোর্ডে দেখে অনেকে ভেবেছিলেন জিম্বাবুয়েকে হেলায় হারিয়ে দেবে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের একের পর এক সীমানা ছাড়া করে ডোনাল্ড ত্রিপানো বুঝিয়ে দিয়েছেন তারাও লড়াই করতে জানে। বড্ড বেশি চোখে লেগেছে আল আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলামের ধারহীন বোলিং। অথচ রঙিন পোশাকে দুজনই অভিজ্ঞ। তাদের যখন পেটাচ্ছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা তখন সাইফউদ্দিনের অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রামে ছিলেন পেস বোলিং এই অলরাউন্ডার। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা জানিয়েছেন, দারুন সম্ভাবনাময় এই অলরাউন্ডারকে সামলাতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। পিঠের চোটের কারণে পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথম ম্যাচে দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমানও ছিলেন বিশ্রামে। দুজনের অবর্তমানে সুযোগ পেয়ে যান শফিউল-আল আমিন। কিন্তু এই দুজনকে পাত্তায় দেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। সাইফ থাকলে শন উইলিয়ামসদের কাজটা আরো কঠিন হয়ে যেত। সেটি স্বীকার করে নিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলছেন, ‘সাইফ তো আমাদের স্পেশাল বোলার, বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে কার্যকরি। যে দুজন খেলেছে, ওদের রেকর্ড ভালো। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলেছে। শিশিরের কারণে ওদের কাজ কঠিন ছিল। আল আমিনের বলে শুরুতে ক্যাচ পড়েছে, ওটা ক্যাচ হলে অন্যরকম কিছু হতে পারত। তবে সাইফ অবশ্যই ডেথ বোলিংয়ে দারুণ।’
সাইফকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর পক্ষেই মাশরাফি। কেন? এর ব্যাখ্যা অধিনায়ক দিলেন এভাবে, ‘সাইফ এই দলের দারুণ সম্পদ ও সম্ভাবনাময় একজন। ওকে আমি মনে করি যে ১০-১১-১২ বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সার্ভিস দেবে। আজকে খেলেনি, কারণ ও মাত্রই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের মতো ইনজুরি থেকে ফিরেছে। ওকে চাপ দেওয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ। স্ট্রেস ফ্র্যাকচার এমনই ইনজুরি, আবার ফিরে এলে দেড়-দুই বছরের জন্য বাইরে চলে যেতে পারে। ওকে খুব সতর্কতায় সামলাতে হবে। ম্যাচ হারলেও আমি বলতাম যে খুব ভালো সিদ্ধান্ত ওকে বিশ্রাম দেয়া।’
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল