ঢাকা: আগে কথা কম বলতেন। সংবাদ সম্মেলনে এক-দুই বাক্যে প্রশ্নের উত্তর দিতেন। সেই লিটন দাস এখন বদলে গেছেন। মন খুলে কথা বলে নিজের ব্যাটিংয়ের বিশ্লেষন করতে জানেন। লিটন নিজেই দাবি করেছেন, তিনি আর আগের মতো নেই। বদলে গেছেন।
বিপিএল চলার সময় লিটন জানিয়েছিলেন, দাম্পত্য জীবন তাঁকে অনেকটা বদলে দিয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রবিবার (১ মার্চ) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৬ রান করে ম্যাচসেরা হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের পরিবর্তন নিয়ে লিটন বললেন,‘ কথা সবার সঙ্গেই বলতাম। হয়তো যারা বন্ধু, তারা ভালো বুঝত আমাকে। অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে কথা কম বলি। যেটুকু প্রয়োজন, ততটাই বলি। যে পরিবর্তনের কথা বললেন, বিপিএলের সময়ও বলেছি যেটা মাথায় কাজ করে, পরিণতবোধ...। ক্রিকেট দেখলে অনেক সময় বোঝা যায়। আপনারাও বুঝবেন, দুই বছর আগে যে লিটন ছিল, সেই লিটন এখন আর নেই। আউট হব, রান করব, এসব ক্রিকেটের স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু খেলার যে ধরন, সেটায় মনে হয় পরিবর্তন হয়েছে, যেটা বুঝতে পারছি।’
আত্মবিশ্বাসী এক ইনিংস খেলার পরও লিটন বলছেন তিনি ব্যাট করার সময় স্নায়ুচাপে ভুগেছেন, ‘অনেকে হয়তো বোঝেননি, অনেক নার্ভাস ছিলাম আজ। কাল রাত থেকেই অনেক নার্ভাস ছিলাম। অনেক দিন ওয়ানডে খেলি না। (গত জুলাইয়ে) শ্রীলঙ্কায় খেলিনি। জানতাম আজ ওপেন করব। মাথায় অনেক চাপ ছিল। ওই স্নায়ুচাপটা মনে হয়, ইতিবাচক হিসেবে কাজ করেছে মাঠে। যেহেতু স্নায়ুচাপ কাজ করছে, ভেবেছি আমাকে আরো মনোযোগ নিয়ে খেলতে হবে। সব শট খেলা যাবে না। যদিও পারি সব শট, তবে খেলা যাবে না। ভয়ের কারণে উইকেটে যতক্ষণ ছিলাম, মনোযোগ খুব ভালো ছিল।’
যেভাবে এগোচ্ছিলেন লিটন তাতে ডাবল সেঞ্চুরিও অসম্ভব ছিল না। অবশ্য এ কথা তিনি এক প্রকার উড়িয়ে দিলেন,‘ স্বপ্ন দেখা ভালো। ভাই, সেঞ্চুরি করতে পারছি না, ডাবল সেঞ্চুরি করব কীভাবে? বাস্তবতায় থাকা উচিত। অনেক সময় ৫০-৬০ রান করতে পারি না, ১০০ করতে পারি না, সে কীভাবে ডাবল সেঞ্চুরি করবে?’ তবে লিটন যে ইনিংসটা খেলেছেন এখন ধারাটা পরের ম্যাচগুলোতে বজায় রাখলেই হয়।
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল