ঢাকা : সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতীয় যুবাদের আচরণ ছিল অখেলোয়াড় সুলভ। বিষয়টি মোটেও ভাল চোখে দেখেননি ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে প্রকাশ্য সোমালোচনা করতে দেখা গেয়েছে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, কপিল দেব, এমন কি বিষেণ সিং বেদিকেও। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন দেশটির জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার।
উত্তেজনার ফাইনাল জিতে শেষ পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। ম্যাচে শেষে দুই দেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এই অপরাধে বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল হাসান এবং ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন শচীন টেন্ডুলকার। এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘কাউকে শেখানোর চেষ্টা করাই যায়। কিন্তু যাকে শেখানো হচ্ছে, সে কি আদৌ শিখবে কি না, সেটা তার ওপরেই নির্ভর করে। এসব মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। ভুলে গেলে চলবে না সবাই দেখছে তোমাকে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে তোমার দিকে। খেলার মাঠে আগ্রাসী হওয়া স্বাভাবিক, তবে সেটার জন্য খারাপ ভাষা প্রয়োগ করার প্রয়োজন দেখি না।’
নিজের ক্যারিয়ারে অসংখ্যবার স্লেজিংয়ের শিকার হয়েও কখনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি শচীন। তিনি জবাব দিয়েছেন ব্যাটিংয়ে। সেই কথা মনে করিয়ে শচীন বলেন, ‘ব্যাট বা বল করার সময়ে আগ্রাসন দেখানো স্বাভাবিক। কিন্তু সে আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে যেন দলের অসম্মান না হয়। সবাই ম্যাচ জিততে চায়। রজার ফেদেরার কি জিততে চায় না? ও কি আগ্রাসী নয়? প্রতিটি পয়েন্ট জিততে মরিয়া থাকে সে। কিন্তু এজন্য সে কাউকে অসম্মান করে না।’
আগামীনিউজ/জাকিউল