ঢাকা : করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যেই অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় খবর দিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দুই সংস্থাই জানিয়েছে, চরম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও নির্ধারিত সূচি মেনেই অলিম্পিকের আয়োজন করা হবে টোকিওতে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পরে অলিম্পিক কমিটির পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয়, অলিম্পিক টোকিও থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা এখনো তারা ভাবছে না।
বছরের শুরু থেকে চীনে বড় সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে নতুন ধরনের জীবাণু নোভেল করোনা ভাইরাস। খুব কম সময়ের মধ্যেই তা মহামারি আকার ধারণ করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিতে হয়েছে অন্তত ১৫০০ জনের। শুধু চীন নয়, বিশ্বজুড়ে তাবড় গবেষকরা নেমে পড়েছেন নোভেল করোনা রুখে দেওয়ার ওষুধ তৈরিতে। কিন্তু সমাধানসূত্র এখনো বের হয়নি। চীনের গণ্ডি পেরিয়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী জাপানেও এর প্রকোপ প্রবল। ইতিমধ্যেই জাপানে করোনার প্রভাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে আরো দুই জন। আক্রান্ত কয়েক হাজার মানুষ।
জুলাইয়ের শেষেই টোকিওতে অলিম্পিকের আয়োজন হওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই, যে দ্রুত হারে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে অলিম্পিকের আয়োজন নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, টোকিও এখনো পুরোপুরি নিরাপদ। তাই অলিম্পিক সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বা স্থগিত করে দেওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। তবে করোনার কারণে আয়োজকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বছর অলিম্পিকে ২০০ দেশের প্রায় ১১০০ অ্যাথলিট অংশ নেবেন। টোকিও যাওয়ার কথা কয়েক হাজার বিদেশি দর্শকেরও। সেক্ষেত্রে করোনার আতঙ্ক খেলার ওপর প্রভাব ফেলবে সন্দেহ নেই।
এ নিয়ে অলিম্পিক্স সংযোগকারী কমিটির চেয়ারম্যান জন কোট্স বলছেন, ‘করোনা ভাইরাসের জন্য নিয়মিত সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে। এটা বিশাল কাজ।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে তথ্য দিয়েছে, তার ভিত্তিতে অলিম্পিক হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে চিন্তা থাকছে চীনের অ্যাথলিটদের নিয়ে। কারণ চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অ্যাথলিট অলিম্পিকে অংশ নেবেন।
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল