ঢাকা : পুরনো বছরের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে নতুন করে জেগে উঠেছেন তামিম ইকবাল। বিপিএল দিয়ে শুরু করে পাকিস্তান ঘুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) নিজেকে নবরূপে উপস্থাপন করলেন জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ওপেনার। এক যুগেরও বেশি সময় পর ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রকিবুল হাসানকে টপকে কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে ছুঁয়ে ফেললেন তামিম।
২০০৭ সালের ২১ মার্চ ফতুল্লা স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল হাসান। জাতীয় লিগের ম্যাচে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে বরিশাল বিভাগের হয়ে ৩১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। প্রায় ১৩ বছর পর বিসিএলে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে পূর্বাঞ্চলের হয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন তামিম ইকবাল।
রকিবুলের রেকর্ড ভাঙার দিনে আরেকটি নজির গড়লেন এই ড্যাশিং ব্যাটসম্যান। ছুঁয়ে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকেও। ১৯৩০ সালে হেডিংলিতে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্র্যাডম্যান। তার ইনিংসটাও ছিল ঠিক ৩৩৪ রানের। ৫৮ বছর পর পেশোয়ার টেস্টে ব্র্যাডম্যানের সেই ইনিংসকে সম্মান জানিয়ে ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যান মার্ক টেলর। এবার বাংলাদেশের তামিমও ৩৩৪ রানে অপরাজিত থাকলেন তামিম।
এদিন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাকেও টপকে গেছেন তামিম। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সাঙ্গাকারা। এতদিন বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। আজ সাঙ্গাকেউ ছাড়িয়ে গেলেন তামিম।
তামিমের রান ৩৩৪-এ পৌঁছাতেই ইনিংস ঘোষণা দেয় পূর্বাঞ্চল। ৫৮৫ মিনিটে ৪২৬ বলে ৪২টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তামিম। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে তামিমকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পূর্বাঞ্চলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫৫৫।
আগামীনিউজ/জেডআই