ঢাকাঃ চলতি মাসেই চাকরির মেয়াদ শেষ হচ্ছিল জেমি সিডন্সের। তবে মেয়াদ শেষ হতে এখনও ১২ দিন বাকি। তবুও বাংলাদেশে নিজের চাকরির সময় শেষ হওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া ফিরে গেছেন টাইগারদের এই গুরু। আপাতত বিসিবির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে থাকছেন না সিডন্স।
তবে ভবিষ্যতে কোন প্রয়োজন যদি হয়, তাহলে আবারো আগামী বছর তাকে ফেরাতে পারে বিসিবি। এমনটাই আজ শনিবার জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সিডন্সের চুক্তির মেয়াদ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, 'জেমি সিডন্স এখন আর আমাদের সঙ্গে নেই। প্রোগ্রাম যখন থাকে তখন মনে হয় তাকে ডাকা হয়। এভাবেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বা মাসিক চুক্তি হয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি যতটুকু জানি বছরে কতদিনের জন্য কাজ করবে এই ব্যাপারে চুক্তি আছে।'
উল্লেখ্য, জেমি সিডন্সের বাংলাদেশে এটি ছিল দ্বিতীয় অধ্যায়। এর আগে বাংলাদেশের প্রধান কোচ থাকাকালীন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটিংয়ে বেশ বড় অবদান রেখেছিলেন তিনি। পুরনো সাফল্যের আশায় অ্যাশওয়েল প্রিন্স দায়িত্ব ছাড়ার পর তাকে আবার ফেরানো হয়েছিল।
অবশ্য হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সিডন্সকে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে। ছিলেন এইচপির ব্যাটিং পরামর্শকও। সিডন্সের চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত।
এর আগে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ। বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরে এলেও আসেননি ডোনাল্ড। সরাসরি নিজ দেশে উড়াল দিয়েছিলেন তিনি ।
পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড চাকরি থেকে সরে যাওয়ার পর দল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন দলের পারফর্মম্যান্স বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। নিজ দেশ ভারত থেকে আর আসেননি তিনি। বিশাল কোচিং প্যানেলের মধ্যে দলের সঙ্গে ঢাকা এসেছিলেন কেবল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
এমআইসি