ঢাকাঃ বিশ্ব জুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের রমরমাতে ওয়ানডে ক্রিকেট তার জৌলুস হারাচ্ছে। অনেক ক্রিকেটারই ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলার জন্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করতেই অবসর নিয়ে থাকেন দ্রুত। সে ক্ষেত্রে একদিনের ক্রিকেট কমে গেলে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে অনেকটা জায়গা ফাঁকা হবে এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার বেশি সুযোগ পেলে, ক্রিকেটাররাও তড়িঘড়ি অবসরের সিদ্ধান্ত নেবেন না। ফলে ২০২৭ বিশ্বকাপের পরে দ্বিপাক্ষি ওয়ানডে ক্রিকেট কমানোর পরামর্শ দিয়েছে এমসিসি।
এমসিসি ক্রিকেট কমিটির প্রধান মাইক গ্যাটিং। এছাড়া কমিটিতে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইয়ন মর্গ্যান, ঝুলন গোস্বামীর মতো সাবেক ক্রিকেটাররা। অ্যাশেজ সিরিজে লর্ডস টেস্টের মাঝেই সভায় বসেছিল এই কমিটি। সেই আলোচনায় ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎও একপ্রকার নির্ধারণ করা হয়ে গেছে।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং এর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের কমিটি আশা করছে যে, ‘ওডিআই ক্রিকেটের সংখ্যা কমলে, তার মান আরও বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ওডিআই ক্রিকেট সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি বিশ্বকাপের এক বছর আগে থেকে ওডিআই সিরিজ করা যেতে পারে। এতে ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জায়গা তৈরি হবে। যেটা কার্যকরী ভাবে কাজে লাগানো যাবে।’
বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যে জয়জয়কার অবস্থা, তাতে একদিনের ক্রিকেটের প্রয়োজনীয়তা আর নেই। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তাকেও মাথায় রাখছে এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি। সে কারণে শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে ওয়ানডে না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জনপ্রিয়তা যেহেতু বেশি, সেহুতে এই বিশ্বকাপ চার বছরের পরিবর্তে তিন বছর অন্তর আয়োজন করারও সুপারিশ করা হচ্ছে এমসিসির প্রস্তাবনায়।
অন্যদিকে এমসিসি প্যানেল টেস্ট ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখতে এবং নারী ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে কৌশলগত বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছে। কমিটি দেশগুলির মধ্যে উদীয়মান বৈষম্যের উপর জোর দিয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমান ব্যবস্থাটি প্রভাবশালী দলগুলিকেই ব্যাপক ভাবে সমর্থন করে। এর ফলে সম্ভাব্য ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সামগ্রিক বিকাশ এবং সুবিধা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এমসিসির বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে, কমিটি ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বাইরের দেশগুলিতে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখার বিষয় নিয়ে বিশেষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বুইউ