ঢাকাঃ প্রায় এক যুগ পর আবারও বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার সুযোগ এসেছিল আর্জেন্টিনার সামনে। ফাইনালে নেদারল্যান্ডস বাধা পেরুতে পারলেই ধরা দিত পরম আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা। তবে সেটা আর হলো না। রোববার রাতে নারী হকি বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের সামনে পাত্তাই পায়নি আর্জেন্টিনার মেয়েরা। দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে নবম বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ডাচ মেয়েরা।
আর্জেন্টিনার সামনে সুযোগ ছিল তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এর আগে ২০০২ ও ২০১০ সালের আসরে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা। দুইবারই শেষ হাসি হাসে আর্জেন্টিনা। ২০০২ সালে ১-১ গোল ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে জেতে ৪-৩ ব্যবধানে। আর ২০১০ সালে আর্জেন্টিনার জয় ৩-১ গোলে।
প্রায় এক যুগ পর ২০১০ সালের ফাইনালের প্রতিশোধই যেনো নিলো নেদারল্যান্ডস। পুরো আসরে অপরাজিত থেকেই শিরোপা জিতলো তারা। স্পেনের তেরেসায় হওয়া ফাইনাল ম্যাচে প্রথম মিনিটেই দুইটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু গোল করতে পারেনি তারা।
শুরুর এ ধাক্কা সামলে পাল্টা জবাব দিতে সময় লাগেনি নেদারল্যান্ডসের। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় মারিয়া ভার্সকুরের স্টিক থেকে প্রথম গোল পায় ডাচরা। মিনিট সাতেক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেমিফাইনালে জয়ের কারিগর ফ্রেডরিক মাতলা।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে তাড়াহুড়ো শুরু করে দেয় আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে গতিময় গোছালো খেলা উপহার দিচ্ছিলেন ডাচ মেয়েরা। যার ফলও পায় তারা। তৃতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন ফেলিস আলবারস। যা তাদের জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে দেয়। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে অগাস্টিনা গোরজেলানির গোলে ব্যবধান কমায় আর্জেন্টিনা।
দিনের অন্য ম্যাচে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানি। যেখানে ১৪ মিনিটের মাথায় লিনা মিকেলের গোলে লিড নেয় জার্মানি। তবে ৪৯ ও ৫৬ মিনিটে স্টেফানি কারশর করা জোড়া গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া। তারাই পায় তৃতীয় হওয়ার খেতাব।
এদিকে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও আসরের ব্যক্তিগত পুরস্কারে আর্জেন্টিনার জয়জয়কার। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন মারিয়া গ্রানাত্তো, সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বেলেন সুচ্চি এবং সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (৮টি) হয়েছেন অগাস্টিনা গোরজেলানি। তারা তিনজনই আর্জেন্টিনার।
এমবুইউ