ঢাকাঃ করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই জন এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একজন অবশেষে করোনা মুক্ত হয়েছেন। ২০ দিনের বন্দি জীবন শেষে অবশেষে তারা প্রিয়জনের মুখ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সবাই যার যার বাড়িতেও চলে গেছেন।
জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলে গত ১ ডিসেম্বর দেশে ফেরে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ঢাকায় পা রেখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করেন তারা। সেখানেই দুই ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়ে। এক সপ্তাহ পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই দুজন ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরপর বিসিবি জানায় দলের আরেকজন সদস্যও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। আক্রান্ত তিনজনকে রাখা হয় মুগদা জেনারেল হাসাপাতালে। এছাড়া বাকিদের রাখা হয় প্রশিকায় অবস্থিত নির্ধারিত ফ্লাটে। বুধবার রাতে করোনা মুক্ত হওয়ার পরই তারা ছাড়া পান। সোমবার দুপুরে মুক্ত হলেন বাকি তিনজন।
বিসিবির উইমেনস উইংয়ের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ বলেছেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় সবাই করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। আজ দুপুরে তারা যে যার বাসায় চলে গেছেন। ২০ দিনের বন্দি জীবন কাটানোর পর তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। একই আবহ বিসিবিতেও। কারণ আমরাও অনেক চাপে ছিলাম।’
পুরোটা সময়ই কোন তিন জন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তা গোপন রাখে বিসিবি। এখন অবধি ওই তিনজনের নাম জানা যায়নি। তবে মুক্ত হওয়ার পর নিজের ফেসবুকে নাহিদা আক্তার স্বস্তির অনুভূতি প্রকাশ করেছেন, ‘২০ কোয়ারেন্টিন শেষে আমি এখন মুক্ত। এখন আমার বাড়ি ফেরার পালা। এই সময় যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
জিম্বাবুয়েতে করোনার হানায় হুট করেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে নারী ক্রিকেটারদের ঢাকায় ফিরতে হয় কয়েকটি দেশ ঘুরে। মূলত দক্ষিণ আফ্রিকান অঞ্চলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয় পুরো দলকে।
এখন সপ্তাহখানেক বিশ্রাম নিয়ে মিরপুরে শুরু হবে নারী দলের ক্যাম্প। জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্ব। তারপর মার্চে নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে নামবে রুমানা-সালমারা।
আগামীনিউজ/বুরহান