ঢাকাঃ আশা বাঁচিয়ে রাখতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের বিকল্প ছিল না। শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটি ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। তবে বিশ্ব মঞ্চের লড়াই বলে কথা। লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠলেন, দলকে এনে দিলেন বড় পুঁজি। রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানরা পারল না লক্ষ্য ছুঁতে। এক ম্যাচ আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ছিটকে পড়ল সেমি ফাইনালের দৌড় থেকে।
আবুদাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও ১৬৯ রানে থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফলে ২১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাইরন পোলার্ডের দল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ওভারে ফার্নান্দোর বলে মাত্র ১ রান করে বিদায় নেন ক্রিস গেইল। তিন বল পরেই ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হন আরেক ওপেনার এভিন লুইস। ৮ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। এরপর নিকোলাস পুরানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন রোস্টন চেজ। করুনারত্নের ব্যক্তিগত ৯ রানে উইকেট হারান তিনি।
চেজের বিদায়ের পর হেটমায়ারকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন পুরান। কিন্তু অর্ধশতকের চার রান আগেই উইকেট হারান তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি রাসেল। করুনারত্নের বলে বিদায় নেন তিনি। পরের ওভারেই হাসারাঙ্গার বলে উইকেট হারিয়ে ডাক মেরে সাঝঘরে ফিরেন পোলার্ড। এক ওভার পার না হতেই সদ্য মাঠে নামা হোল্ডারও ক্যাচ তুলে ৮ রানে বিদায় নেন।
ব্যাট হাতে উইন্ডিজের হয়ে একাই লড়ে যাওয়া হেটমায়ার শেষদিকে এসে ৩৮ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। যদিও দলকে আর জেতাতে পারেননি তিনি। তবে ৪ ছয় ও ৮ চারে ৫৪ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়ে যান এ ব্যাটার। লঙ্কানদের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন ফার্নান্দো, করুনারত্নে ও হাসারাঙ্গা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও চারিথ আসালাঙ্কা। ব্যাট হাতে দারুণ খেলতে থাকা কুশল পেরেরার উইকেট নিয়ে লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন ক্যারিবিয় বোলার আন্দ্রে রাসেল। তার হাতেই ক্যাচ তুলে ২১ বলে ২৯ রান করে সাঝঘরে ফেরেন কুশল পেরেরা।
এরপর ব্যাট করতে নামা আসালাঙ্কাকে নিয়ে দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। দুর্দান্ত ব্যাট করে ৫ চারে ৩৯ বলে অর্ধশতক তুলে নেন এ ব্যাটার। ৬১ বলে ৯১ রানের জুটি গড়েন এ দুইজন।
১৬তম ওভারে নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন ব্রাভো। হেটমায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৫১ রানে সাঝঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩৩ বল খরচায় অর্ধশতক তুলে নেন আসালাঙ্কা। দুর্দান্ত ব্যাট করে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষদিকে এসে রাসেলের বলে উইকেট হারান এ ব্যাটার। ১ ছয় ও ৮ চারে ৪১ বলে ৬৮ রান করে বিদায় নেন তিনি।
আসালাঙ্কা বিদায় নিলেও ব্যাট হাতে অসাধারণ খেলেন অধিনায়ক শানাকা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৯ রান। ১৪ বলে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন শানাকা। অপরপ্রান্তে ৩ বলে ৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন করুনারত্নে।
আগামীনিউজ/নাসির