ঢাকাঃ উদ্ভট তথ্য দিয়ে বরাবরই আলোচনায় থাকেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো। গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরও আবোল তাবোল বকে আসছিলেন তিনি। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মানা নিয়ে নানা রকম ভুয়া তথ্যও ছড়িয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) টিকা নেওয়ার ব্যাপারে জোর দিলেও শুরু থেকেই টিকা নিতে অস্বীকার করে আসছেন নেইমারের দেশের প্রেসিডেন্ট। এমনকি করোনা আক্রান্ত হয়েও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াননি তিনি।
গত বছরের মার্চের পর চলতি সপ্তাহ থেকে দেশটির ঘরোয়া ফুটবলে স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার এই সময়ে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে হলে দর্শকদের করোনা টিকা নেওয়ার সনদ থাকতে হবে।
তবে রোববার (১০ অক্টোবর ) ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসকে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারো টিকা না নেওয়ায় তাকে মাঠে ঢোকার অনুমতি দেয়নি পেলে-নেইমারদের সাবেক ক্লাবটি।
এদিকে, স্টেডিয়ামে ঢুকতে না পেরে ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। টিকা নেওয়া মানুষের চেয়েও তার শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি বেশি আছে দাবি করে বোলসোনারো বলেন, ‘আমি শুধু একটা ম্যাচই দেখতে চেয়েছিলাম, সে জন্য বলা হলো আমাকে টিকা নিতে হবে। কেন? যারা টিকা নিয়েছেন, তাদের চেয়েও আমার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি আছে!’
এছাড়া তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন আমাকে সঙ্গে টিকার কার্ড নিয়ে ঘুরতে হবে, টিকা কি পাসপোর্ট?’
এর আগে মাস্ক না পরার দায়ে জরিমানা গুনতে হয়েছিল বোলসোনারোকে। মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ববিরোধী অনেক মন্তব্য করে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে তার দায়িত্ববোধ নিয়েও।
গত জুনে ব্রাজিলে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও কোপা আমেরিকা আয়োজন করে আরও বেশি সমালোচনা কুড়িয়েছেন বোলসোনারো। টুর্নামেন্টটা অবশ্য দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হয়েছে।
এর মধ্যে নতুন এই কাণ্ড বোলসোনারো এমন এক সময় করলেন, যখন সদ্যই জানা গেছে যে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়িয়েছে।
আগামীনিউজ/শরিফ