ঢাকাঃ অবশেষে পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। সেটাও চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে শক্তিশালী ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। ঘরের মাঠে তার দলও জয় পেয়েছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। অপর গোলটি করেছেন ইদ্রিসা গানা গেয়ে।
মঙ্গলবার রাতের ম্যাচটিতে পিএসজির জয়ের অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা। পুরো ম্যাচে আক্রমণের আধিপত্য ছিলো ম্যান সিটির। অন্তত ১৮টি শট করে তারা। যার মধ্যে ৭টি ছিলো লক্ষ্যে। সাতটিই ফিরিয়ে গোলবার অক্ষত রাখেন ইতালিয়ান তরুণ।
তবে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে প্রথম গোল করে পিএসজিই। বাইলাইন থেকে কাইলিয়ান এমবাপের কাটব্যাক করা বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি নেইমার, ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন ম্যান সিটির রিয়াদ মাহরেজও। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বিনা বাঁধায় বল জালে জড়ান গুইয়ে।
পরে ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেছেন মেসি। আক্রমণে ছিলো সিটিজেনরাই। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠে বল পান মেসি। সেটি ধরে দ্রুততার সঙ্গে চলে ম্যান সিটির ডি-বক্সের কাছে। গায়ের সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তাকে এড়িয়ে পাস দেন কাইলিয়ান এমবাপের উদ্দেশ্যে।
নিজের কাছে বল রাখেননি এমবাপে। প্রথম ছোঁয়ায় ফিরতি পাস দেন মেসিকে। ততক্ষণে ডি-বক্সের মুখে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে মেসি। ফিরতি বল পেয়ে বাঁ পায়ের জাদুকরী শটে ব্যবধান ২-০ করেন ছয়বারের ব্যালন ডি অর জয়ী ফুটবলার।
ম্যান সিটির বিপক্ষে এই গোলটি করে নতুন আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে টানা ১৭ মৌসুমে গোল করলেন তিনি। একই রাতে এই রেকর্ড গড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমাও। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর রয়েছে টানা ১৬ মৌসুমে গোল।
এই গোলের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির গোলসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১টি। এর মধ্যে ২৭টিই করেছেন ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে। যা কি না অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে ১৫টি বেশি।
গ্রুপ এ থেকে এই জয়ে দুই ম্যাচ শেষে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। সমান ম্যাচ শেষে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সিটি। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে ক্লাব ব্রাগ। এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্টই পায়নি আরবি লাইপজিগ।