ঢাকাঃ সবশেষ ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর আর জেতা হয়নি। তবে ঘরের মাঠে তরুণ ও অনভিজ্ঞদের নিয়ে গড়া দুর্বল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে লঙ্কানরা। যা ভারতের বিপক্ষে ১৩ বছর পর জেতা কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাতে কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার রেকর্ড বোলিংয়ে ভারতকে ৮১ রানে আটকে দেয় শ্রীলঙ্কা। এরপর ১৪.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। জয় করে সিরিজ।
ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা অপরাজিত ২৩ রান করেন। ১৮ রান করেন মিনোদ ভানুকা। অপরাজিত ১৪ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আর ১২টি রান আসে আভিষকা ফার্নান্দোর ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কার যে ৩টি উইকেটের পতন ঘটে ৩টিই নেন ভারতের রাহুল চাহার।
তার আগে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৯ রান দিয়ে রেকর্ড ৪ উইকেট শিকার করে ভারতের ইনিংসে ধস নামান হাসারাঙ্গা। জন্মদিনে যা কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার।
২টি উইকেট নেন দাসুন শানাকা। ১টি করে উইকেট নেন দুষ্মান্থে চামিরা ও রামেশ মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কার বোলিং তোপের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। তাতে দলীয় সংগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। কুলদীপ যাদব সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৩ রান করেন। আর ভুবনেশ্বর কুমার করেন ১৬ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি। তাতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি ভারত। যা টি-টোয়েন্টিতে ভারতের তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
দুর্দান্ত বোলিং ও ব্যাট হাতে রান করে ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।