ঢাকাঃ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে ইতালি। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে তারা। ঘরের মাঠে রূপকথা সৃষ্টি সম্ভব হলো না ইংল্যান্ডের। মূল ম্যাচের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে অতিরিক্ত সময়ে আর গোল দেখেনি ওয়েম্বলি। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে স্বাগতিকদের ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ১৯৬৮ সালের ইউরো জয়ী ইতালি। ইতালির হয়ে টাইব্রেকারে গোল করেছেন ডমিনিকো বেরার্দি, লিওনার্দো বুনুচ্ছি ও ফেদেরিকো বার্নারদেস্কি। ইংল্যান্ডের হয়ে সফল শট নিয়েছেন হ্যারি কেন ও হ্যারি মাগুইয়ার। ইতালির হয়ে আন্দ্রেয়া বেলোত্তি ও জর্জিনহো মিস করলেও ইংল্যান্ডের হয়ে মার্কাস রাশফোর্ড,জ্যাডন সাঞ্চো ও বুকায়ো সাকা লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। এদের মধ্য ইতালি গোলরক্ষক ডোন্নারুমা ফিরিয়ে দিয়েছেন সাঞ্চো ও বুকায়ো সাকার শট। দুটি শট ফিরিয়েছেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডও।
স্বপ্নের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এর আগে কখনোই ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নির্ধারণি ম্যাচে খেলা হয়নি তাদের। সর্বোচ্চ ১৯৬৮ ও ১৯৯৬ সালে দুবার সেইফাইনালে খেলেছিল তারা। ইতালির জন্য অবশ্য এই ফাইনাল নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনবার ফাইনাল খেলেছে তারা, শিরোপা জিতেছে একবার। ২০০০ সালের পর ২০১২ সালেও রানার্স আপ হয়েছিল আজ্জুরিরা। টানটান উত্তেজনার এ ম্যাচে নিজেদের মাঠে ওয়েম্বলিতে দুই মিনিটের মাথায়ই এগিয়ে যায় ইংলিশরা।
কেইরন থ্রিপিয়ারের পাস থেকে উড়ে আসা বলে দুর্দান্ত শট নেন ডিফেন্স থেকে দৌড়ে আসা লুক শ। তার শট ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডোন্নারুমা বুঝে ওঠার আগেই ইংল্যান্ডের লিড ১-০ গোলে। প্রথমার্ধে অবশ্য ইংল্যান্ড একটিই আক্রমণ করেছে, ইতালি পোস্ট বরাভর তিনটি শট নিলেও সেগুলোর কোনোটিই লক্ষ্যে ছিল না। বিরতির পর সমতায় ফিরে ইতালি। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে আলতো ছোয়ায় বল জালে পাঠান ইতালি ডিফেন্ডার লিওনার্দো বুনুচ্ছি।