ঢাকাঃ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টি-২০ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে গতকাল হঠাৎ করেই উত্তেজনা ফিরে আসে। তবে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে নয়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিতর্কিত কান্ডে।
আম্পয়ারের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে মোহামেডানের এ অধিনায়ক লাথি মেরে উইকেট ভাঙেন। এরপর উইকেট উপরে ফেলেন এবং আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদের সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হন। এমন সব কাণ্ডের পরও বৃষ্টিস্নাত কার্টেল ওভারের ম্যাচটি মোহামেডান জিতেছে ৩১ রানে।
যদিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। তবুও সাকিবের এমন অস্বাভাবিক আচরণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখবে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সিসিডিএম। ম্যাচের দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে সিসিডিএম।
ম্যাচ শেষে বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম বলেছেন, খেলার মাঠে অনেক কিছুই হয়। আজ আবাহনী-মোহামেডানের খেলা ছিল এবং এখানে বেশ উত্তেজনা ছিল, কিছু ঘটনাও ঘটেছে। সাকিব আল হাসানকে আমরা দেখতে পেয়েছি। এটা ফেসবুক লাইভ এবং ইউটিউব লাইভেও ছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক। ম্যাচ রেফারির দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হবে সাকিবের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত।
এ ব্যাপারে কাজী ইনাম বলেন, ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেখানে উত্তপ্ত একটি মুহূর্ত এসে যেতে পারে। কিন্তু আমরা আশা করি, সবসময় খেলোয়াড় তাদের মেজাজ ধরে রাখবে। যাই হোক, এটা স্বীকৃত ম্যাচ, এখানে নিয়ম আছে। ম্যাচ রেফরি, আম্পায়ারা একটা প্রতিবেদন দেবেন। নিয়ম ভাঙলে কী হয়, সেটাও সবাই জানে। আম্পায়াররা যদি আচরণবিধির লেভেল টু লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, তাহলে শাস্তি হবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অথবা এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা। আর যদি লেভেল ফোর ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা হবে কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের।