Dr. Neem on Daraz
Victory Day

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চমকপ্রদ ৫ নিয়ম


আগামী নিউজ | খেলাধুলা ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২, ২০২১, ০৯:২৪ এএম
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চমকপ্রদ ৫ নিয়ম

ঢাকাঃ প্রথমবার টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে। আইসিসিও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে করোনা আবহে মেগা এই ইভেন্টকে সফল করতে।

এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আসলে সবদিক থেকেই অভিনব। অনেকেই এটিকে তুলনা করছে ৫০ ওভার বা ২০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে। এর নিয়ম কানুনেও থাকছে অভিনবত্ব।

ক্রিকেট বিশ্ব এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যা কিছু প্রথমবার দেখতে চলেছেঃ

১। রিজার্ভ ডে-

আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে থাকছে একটি রিজার্ভ ডে। অবশ্যই রিজার্ভ ডে’র ধারণাটা টেস্ট ক্রিকেটে অভিনব এবং বেনজির।

আইসিসি বলছে, ম্যাচ চলাকালীন কোনও একদিন বা দুইদিন সামান্য বৃষ্টি হলে যে কয়েকটা ওভার নষ্ট হল, সেগুলি রিজার্ভ ডে’তে খেলানো হবে, এমন নয়। রিজার্ভ ডে একমাত্র ব্যবহার করা যাবে যদি পাঁচদিনে ৯০ ওভার বা ৬ ঘণ্টার বেশি খেলা বৃষ্টির জন্য পণ্ড হয়। রিজার্ভ ডে’তে সর্বোচ্চ ৮৩ ওভার বা ৩৩০ মিনিট খেলা যাবে। রিজার্ভ ডে নেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত ম্যাচ রেফারি নেবেন একদম ম্যাচের পঞ্চম দিনের শেষ ১ ঘন্টায়।

২। ডিউক বল-

ম্যাচটি খেলা হবে গ্রেড ওয়ান ডিউক বল দিয়ে। টেস্ট ক্রিকেট সাধারণত তিন ধরনের বলে খেলা হয়। ডিউক বল, এসজি বল এবং কোকাবুরা বল। এই গ্রেড ওয়ান ডিউক বল সম্পূর্ণরূপে হাতে সেলাই করা। সেলাইয়ের ছয়টি সারি রয়েছে এতে। এতে বল গ্রিপ করতেও সুবিধা হয়, আবার এর সিমও অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়। যার ফলে সুইং এবং স্পিন দুটিই বেশি হতে পারে।

৩। শর্ট রানে থার্ড আম্পায়ার-

এতদিন কোনও ক্রিকেটার রান নেওয়ার সময় পপিং ক্রিজে পৌঁছালেন কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব ছিল অন-ফিল্ড আম্পায়ারের। কেউ পপিং ক্রিজে না পৌঁছে দ্বিতীয় বা তৃতীয় রানের জন্য ফিরে গেলে ‘শর্ট রান’ দেওয়া হত। অর্থাৎ রান বাতিল হত। সিদ্ধান্ত নিতেন মাঠের আম্পায়াররা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এই শর্ট রানের সিদ্ধান্ত নেবেন থার্ড আম্পায়ার। মাঠের আম্পায়ার শর্ট রানের সিগন্যাল দিলেই থার্ড আম্পায়ার খতিয়ে দেখবেন, সেটি আদৌ শর্ট রান ছিল কিনা।

৪। ডিআরএসের আগে আম্পায়ারের পরামর্শ-

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ডিআরএস নেওয়ার আগেও নেওয়া যাবে আম্পায়ারের পরামর্শ। তবে, শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে। কোনও এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, ব্যাটসম্যান শট খেলেছেন, নাকি বলটি ইচ্ছা করে প্যাডে লাগিয়েছে, সে বিষয়ে আম্পায়ারের মতামত আগেই জেনে নেওয়া যাবে। তারপর নেওয়া যাবে ডিআরএস। ফিল্ডারদের পাশাপাশি ব্যাটসম্যান নিজেও এই পরামর্শ নিতে পারবেন।
 
৫। এলবিডাব্লিউ এর ক্ষেত্রে উচ্চতা-

এলবিডাব্লিউ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের উপরে চাপ খানিকটা বাড়ছে। কারণ বলের উচ্চতা নিয়ে সিদ্ধান্ত কিছুটা বদলেছে আইসিসি। এতদিন এলবিডাব্লিউ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে বলের অন্তত অর্ধেক উইকেটের বেলে লাগলে তবেই আউট দেওয়া হত। এবার থেকে এই নিয়ম বদলাচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রিভিউয়ের ক্ষেত্রে যদি হক-আইয়ে দেখা যায়, বলের কোনও একটি অংশ উইকেটের কোনও একটি অংশ ছুঁয়ে যাচ্ছে, তাহলেই সেটিকে আউট বলে গণ্য করা হবে।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে