ঢাকাঃ বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি এলিটা কিংসলে। সম্প্রতি বসুন্ধরা কিংসে যোগ দেয়া এই নাইজেরিয়ান ২০১৬ সালেই বৈবাহিক সূত্রে বাংলাদেশী হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন সম্প্রতি গৃহীত হওয়ায় খুশি এলিটা এবং তার পরিবারও। তবে এবার নাগরিকত্বের পেছনে অন্যরকম গল্প জানালেন এই ফরোয়ার্ড।
বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবগুলোতে অনেক আফ্রিকান খেলোয়াড় আছেন। অনেকেই সুযোগ পেয়ে ভালো ক্লাবে চলেও গেছেন। কিন্তু ২০১১ সালে খেলতে এসে ২০১২ সালেই বাংলাদেশের মেয়ে লিজাকে বিয়ে করে থিতু হয়ে যান এলিটা। এরপরে ২০১৫ সালে তৎকালীন কোচ লডউইক ডি ক্রুইফকে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা। সেই পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবার সময় ছাড়তে হয়েছে জন্মভূমি নাইজেরিয়ার নাগরিকত্বও। কিন্তু এই কঠিন সিদ্ধান্তের রহস্য খোলাসা করতে গিয়ে এলিটা জানালেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণের পেছনে অন্যতম কারণ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!
এলিটা বলেন, “দেশ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। এসব দেখে আমি এই দেশের প্রেমে পড়ে যাই। কারণ, আমি এসেই দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে কাজ করছেন। উনি অসাধারণ কাজ করেছেন এবং এর অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একেবারেই আলাদা। আমি তাঁর সঙ্গে কখনও কথা বলিনি বা তিনি আমাকে চেনেন না, কিন্তু আমার বাংলাদেশী হওয়ার পেছনে তিনিও কারণ হিসেবে রয়েছেন।”
অবশ্য এলিটা নাগরিকত্ব পাওয়ায় খুশি তার কন্যা এলিটা সাফিরা। তারও চাওয়া ছিলো যেন বাংলাদেশেই বাবা থিতু হন। দুই সন্তান আর স্ত্রীর ভূমিকাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। তবে কোচ জেমি ডে এলিটার পারফরম্যান্স দেখেই সিদ্ধান্ত নিবেন, জাতীয় দলে খেলতে পারবেন কি না এলিটা। তবে সবকিছু মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বাংলাদেশের অনুমোদিত এই নাগরিক।
আগামীনিউজ/নাসির