বাগেরহাটঃ মোংলার আরাজী মাকড়ঢোন মাঠে ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় দর্শকদের করোনা বিধি নিষেধ মানতে দেখা যায়নি। মুখে মাস্ক নেই, ছিলনা সামাজিক দূরত্বের বালাই না থাকায় ছিল করোনা ঝুঁকির শংকা। এরই মধ্য দিয়ে মোংলায় ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহরতলীর আরাজী মাকড়ঢোন মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহণ করে মোংলা যুব ফোরাম ও নারকেলতলা যুব সংঘ। খেলার প্রথম ও দ্বিতীয়ভাগে গোল ড্র হওয়ায় পরে অনুষ্ঠিত হয় টাইব্রেকার। টাইব্রেকারে নারকেলতলা যুব সংঘ মোংলা যুব ফোরামকে ৫ গোল দিলে বিপরীতে মোংলা যুব ফোরাম ৪ গোল দিতে সক্ষম হয়। এতে এক গোলে চ্যাম্পিয়ান হন নারকেলতলা যুব সংঘ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে চ্যাম্পিয়ান দলের হাতে পুরস্কার তুলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও মোংলা ক্রীড়া পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে খেলা উপভোগের জন্য দুপুরের পর থেকে বিভিন্নস্থান থেকে বিপুলসংখ্যক লোকজন এসে জড়ো হতে থাকে মাঠের চারপাশে। মাঠ ঘিরে প্রচুর দর্শককে দেখা গেছে করোনা বিধি নিষেধ না মেনে গা ঘেষে দাঁড়িয়ে বসে খেলা উপভোগ করতে। সামাজিক দূরত্ব তো ছিলই না, এমনি মুখে দেখা যায়নি মাস্ক পর্যন্ত। এতো মানুষের মধ্যে প্রশাসনের কেউকেই দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মত দায়িত্ব পালন করতে। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, খেলা দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসেছে। কার শরীরে কি আছে, কে জানে। যারা আসছে তারা করোনা নিয়ে আসছে, নাকি মাঠ থেকে ফেরার পথে করোনা নিয়ে বাড়ী যাচ্ছে তা বুঝার উপায় কি। এতে তো অবশ্যই করোনার ঝুঁকি রয়েছে।
খেলার মাঠে দর্শকদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, আমি খেলার শেষ মুহূর্তে গিয়ে পুরস্কার বিতরণ করেছি। তার দাবী তখন মাঠে খুব বেশি লোকজন ছিলনা।
আগামীনিউজ/মিথুন