ঢাকা: টিম ম্যানেজম্যান্ট কী পরিকল্পনা নিচ্ছে তা আগের দিনই জানতে চান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। আকবর আলীরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর তিনি গণমাধ্যমে বলেছিলেন, কিভাবে দল সাজানো হচ্ছে জানেন না। এখন থেকে পরিকল্পনার সাথে জড়িত থাকবেন বলেও জানিয়ে দেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আবার সেই একই কথা বললেন নাজমুল। তিনি নাকি বিসিবি একাদশ দলে কারা খেলছেন তাও জানেন না।
বিকেএসপিতে দুই দিনের ম্যাচ ড্র হয়েছে। সেখানে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ছয় জন ক্রিকেটার খেলেছেন। বাকি যারা খেলেছেন তারাও তরুণ। কিভাবে এই দল গঠন হলো জানেন না নাজমুল। তাঁর ভাষায়,‘ এই যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ হচ্ছে, এসব ম্যাচে আগে আমরা ব্যাটসম্যানদের (মূল দলের) দিতাম, তারা খেলত। বোলারদের দিতাম না। এখানে এখনকার দল যদি দেখেন, নতুন কিছু ছেলে আছে, সাইফ আছে, শান্ত আছে। আমরা এদেরকে দিতে পারতাম। যেহেতু তাদেরকে সামনেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে হবে। তাহলে নতুন ছেলেগুলো ওদের বোলিং একটু হলেও অভ্যস্ত হতো, সাহস পেত। কিন্তু আমরা দেখলাম কেউই নাই। এই যে জিনিসগুলো সব অন্যরকম হচ্ছে, করতে পারে তারা, কিন্তু আমাদের জানা দরকার।’
তাহলে বিসিবি একাদশ গঠন করল কে? এই প্রশ্নটা নাজমুলেরও,‘ এই চমকটা আমি পাচ্ছি, খেলোয়াড়রাও পাচ্ছে। তাহলে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে কে? এজন্যই ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে, কে কী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বেসিক ব্যাপার আগের ফরমুলাতেই চলবে। ১৬ জনের স্কোয়াড নির্বাচকরা দিতে পারবেন। তারপর ১৬ হোক ১৩ হোক এখান থেকে সেরা একাদশ অধিনায়ক ও কোচ নিতে পারবেন। কিন্তু যে জিনিসগুলো হচ্ছে, আমি আগের দিন জানতে চাই গেম প্ল্যান কী।’
বাংলাদেশ দলকে সঠিক জায়গায় ফেরাতে এখন থেকে দলের সিদ্ধান্তে যুক্ত থাকবেন নাজমুল। আর সে কারণেই দলের প্রতিটি পদক্ষেপ জানতে চান তিনি,‘ এই যে হুট করে পরিবর্তন…গত বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ থেকেই এমন হচ্ছে, তারপর আফগানিস্তান (টেস্ট) সিরিজ। পুরো চেঞ্জড। আমি যা জানতাম, তার কিছুই হয়নি। আমরা দেখেছি যারা জীবনে ওপরে খেলেনি, তাদের ওপরে খেলানো হয়েছে। এটা অনেক বড় পরিবর্তন।’
এরপর বিসিবি সভাপতির সংযোজন,‘ পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টিও আমি দেখতে গেলাম, ব্যাটিং অর্ডার চেঞ্জড, কে কোথায় আসছে না আসছে। আমি যেটা জানতাম তা হয়নি। এই ধরণের জিনিস নিয়েই বলেছি।’
আগামীনিউজ/রবিউল/জাকিউল