ঢাকাঃ ৯৯ রানের পর জেসন হোল্ডারের বলটা একটু সাবধানী হয়েই খেলেন তানজিদ তামিম। রান নিতে গিয়েও থমকে যান। পরের বলে আর আটকাতে হলো না। পেয়েই গেলেন বিপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই এই তরুণের প্রথম শতক। সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি। তার বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম পেয়েছে ১৯২ রানের বড় স্কোর।
ইনিংসের শুরু থেকেই আজ বিধ্বংসী ছিলেন চট্টগ্রামের ওপেনার। ৭ চার আর ৭ ছয়ে ৫৮ বলে পেলেন সেঞ্চুরি। চলতি বিপিএলে এটি তৃতীয় শতক, দেশীয়দের মধ্যে দ্বিতীয়। সেঞ্চুরি করে অবশ্য থামেননি তামিম। নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়েছেন ১১৬ পর্যন্ত। এবারের বিপিএলে যেটি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
ডু অর ডাই ম্যাচে চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোম টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। চট্টগ্রামের জার্সিতে ডেব্যু হয় মোহাম্মদ ওয়াসিমের। তবে তিনি দ্রুত আউট হয়ে যান। এরপর ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন তানজিদ তামিম। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে গড়েছেন বিশাল স্কোর। তার নিজের ক্যারিয়ারের অসাধারণ এ ইনিংস সাজিয়েছেন ৮ ছয় আর ৮ চারে।
তানজিদ যখন আউট হন, ততক্ষণে চট্টগ্রামের স্কোরবোর্ডে জমা হয়ে গেছে ১৭০ রান।
তামিম আজ চড়াও হন প্রায় সবার ওপরেই। কোনোভাবেই তাকে আটকানোর রাস্তা পাননি খুলনার বোলাররা। প্রথম ১০ বলে ১০ রান করা তামিম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠেন। ঝড়টা বেশি দেখেছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও আরিফ আহমেদ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে টম ব্রুসের সঙ্গে ৬১ বলে করেন ১১০ রানের পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত তাকে থামিয়েছেন ওয়েইন পার্নেল।
ইয়র্কার লেন্থের বলটা স্ট্যাম্পে আঘাত করার পর স্বয়ং পার্নেলই তামিমকে অভিবাদন জানান।
সামগ্রিকভাবে বিপিএলে এটি ৫ম সর্বোচ্চ স্কোর। সমান ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আরও দুজন। ক্রিস গেইল ও লেন্ডন সিমন্সের আছে ১১৬ রানের ইনিংস।
সামগ্রিকভাবে বিপিএলে এটি দেশীয়দের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সবার ওপরে আছে তামিম ইকবালের অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। এরপরে আছে সাব্বির রহমানের ১২২ রান।
চলতি বিপিএলে এটি সর্বোচ্চ স্কোর। ছাড়িয়ে গিয়েছেন উইল জ্যাকস ও তাওহিদ হৃদয়ের ১০৮ রানের ইনিংস।
বিপিএলে চট্টগ্রামের মাঠে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
এমআইসি/