২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করা রাফসানের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৪ দশমিক ২৫। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ১৫১০১০৪।
রাফসান জামান সারা দেশে প্রথম হয়ে চমক সৃষ্টি করেছে। কত ঘন্টা করে পড়াশোনা করতেন প্রতিদিন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। রাত জেগে কখনো পড়িনি। পুরো পাঠ্যবইটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। ভালো ফলাফল করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সারাদেশে প্রথম হবো এমনটি ভাবিনি কখনো। ৯০ নম্বর সঠিক উত্তর দিয়েছি। দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে উত্তর দিয়েছি বাকিগুলো। তারপরও প্রথম হওয়ার বিষয়টি মাথায় আসেনি একবারও। তবে মেডিকেলে সুযোগ পাবো এটা বিশ্বাস ছিল মনে।’
রাফসান জামানের মা কাউসার নাজনীন বলেন, ‘আমার দুই সন্তান। দুজনই খুব সুশৃঙ্খল ছোটবেলা থেকে। বড় মেয়ে সাদিয়া ইবনাত রাইসা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক পাস করেছেন। ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় সেও ছিল দ্বিতীয় স্থানে। তাদের কোনো কিছুর জন্য কখনো বকাঝকা করতে হয়নি।
রাফসানের বাবা একেএম শামসুজ্জামান ছিলেন রংপুর ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি সিটি গ্রুপের উপমহাব্যবস্থাপক। তার মা গ্রাজুয়েট। খেলাধুলো ও রাজনীতি নিয়ে রাফসানকে জিজ্ঞেস করা হলে তার উত্তর ছিল এরকম, ‘খেলাধুলোর চেয়ে বিরক্তিকর মনে হয় রাজনীতিকে। আমি কখনোই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না। এটির প্রতি আমার কোনো আগ্রহ নেই।’
ছোটবেলায় রাফসান চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে পড়েছেন। সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে। সেখান থেকে এসএসএসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
আগামীতে যারা পরীক্ষা দিবেন তাদের জন্য কি পরামর্শ দিতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে রাফসান বললেন, ‘ভালো ফলাফল করার জন্য সারাক্ষণ পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে যখন পড়তে বসবে তখন একাগ্রতা নিয়ে পড়তে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে পুরো পাঠ্যবইয়ে দিতে হবে পূর্ণ মনোযোগ।’
এসএস