Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিলুপ্ত ছিটমহল ও চরাঞ্চলের উন্নয়নে ১২৮ কোটি টাকার প্রকল্প


আগামী নিউজ | সাইফুল হক মিঠু প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৯:৩২ এএম
বিলুপ্ত ছিটমহল ও চরাঞ্চলের উন্নয়নে ১২৮ কোটি টাকার প্রকল্প

ঢাকা : বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চল এলাকায় প্রানিজ আমিষের উৎপাদন ও প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করতে একশত ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ‘বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে  মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থ কমিটির সভায় (একনেক) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি শেষ হলে বিলুপ্ত ছিটমহল ও নদী বিধৌত চরাঞ্চলে আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, ৪৭ হাজার ২২টি সুফলভোগী পরিবার নির্বাচন ও তাদের মধ্যে প্যাকেজ অনুদান বিতরন, ২১৫টি ঘাসের প্রদর্শনী প্লট, ২১৫টি সাইলেজ প্রদর্শনী ও ২০১ টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন। সুফলভোগী খামারি ও প্রকল্প এলাকা সংলগ্ন ৮টি সরকারি খামারে প্রাণিখাদ্য সরবরাহ। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ২০১ জন ফিল্ড ফ্যাসিলেটর নিয়োগ করা হবে তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করা হবে। ৪৭ হাজার ৪ শত ৪২ জন সুফলভোগী কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

রংপুর বিভাগের ৪ জেলার ২৬ উপজেলায় অবস্থিত ৮৬টি বিলুপ্ত ছিটমহল এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯ জেলার ৪০ উপজেলার ১ হাজার ৪টি নদী বিধৌত চরাঞ্চলের মানুষ এ প্রকল্প থেকে সুবিধা পাবে।

২০১৬ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টায় বাংলাদেশি ৫১টি ছিটমহল ও ভারতের ১১১টি ছিটমহল পরস্পর বিনিময়ের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বাংলাদেশে বিলুপ্ত হওয়া ভারতের ১১১টি ছিটমহলের মধ্যে ৮৬টিতে জনবসতি রয়েছে। এছাড়া রংপুর, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চর এবং কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে যমুনা নদীর চরসমূহের মধ্যে ঘনবসতিপূর্ণ এক হাজার চর প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।

উক্ত প্রকল্পের সুপারিশে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সদস্য জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, ‘এটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় প্রানিজ আমিষ বৃদ্ধি পাবে, প্রাণিখাতের উন্নয়ন ও লাগসই প্রযুক্তির সম্প্রসারণ হবে। সুফলভোগী প্রায় ৪৭ হাজার পরিবার ও এলাকার মানুষের জীবনমান বৃদ্ধি পাবে।’

আগামীনিউজ/মিঠু/সবুজ

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে