পিনাকী ভট্টাচার্য একটা এপিসোড তৈরী করেছেন।নাম দিয়েছেন, ড. ইউনুসের সরকার ফেইল করার রাস্তায়। আমারও মত অনেকটা সেইরকম।
এই নিয়ে তিন বার দেশে বড় পরিবর্তন আসলো।একবার ৭১ সালে,আর একবার ৯০ সালে, আর এবারে ২০২৪ সালে।
পরিবর্তন গুলো সংগঠিত হয়েছে- সাধারন ছাত্র- জনতার রক্তের বিনিময়ে।কিন্তু এরা কেউ কখনো পরিবর্তনের সুফল ভোগ করতে পারে নি।
এবারেও সেইটা হলো।বাজারে জিনিস পত্রের অগ্নিমুল্য কমেনি।সামান্য ডিম আর আলুর সিন্ডিকেট টাও ভাঙা যায়নি।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সরকারী হাসপাতালে সাধারন মানুষের শিক্ষা আর স্বাস্থ্য সেবা আগের মতোই।
অথচ এর বিপরীতে উচ্চ পদগুলোতে প্রমোশন আর পোষ্টিং এর হিড়িক পড়ে গিয়েছে।যেন শকুনগুলো মরা গরুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।এরা নাকি ডিপ্রাইবড।অথচ এই ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় এদের টিকি দেখা যায় নি।ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পরিষদে কাদের দিয়ে পরিবর্তন করা হচ্ছে,দেশবাসী তা দেখছে।রাষ্ট্রের বড় পদ গুলোতে আগের লোক সরিয়ে নতুন পোষ্টিংগুলো কোন বিবেচনায় দেয়া হচ্ছে,তা মানুষ বুঝতে পারছে না।ড. ইউনুস সাহেব জানে কিনা,তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
সারা দেশে দখলদারী আর চাঁদাবাজীর মহোৎসব চলছে।নামমাত্র হুমকি ধমকি দেয়া ছাড়া আম পাবলিক এর বিরুদ্ধে তেমন দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করছে না।সুযোগ বুঝে এইগুলো জায়েজ করার জন্য আবার দ্রুত নির্বাচন চাইছে কোন কোন দল।চাপও দিচ্ছে।সংস্কার দূরে থাক,পরিস্থিতির উত্তরন ঘটাতে না পারলে- সরকারকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হতে হবে।কারন,যারা দ্রুত নির্বাচন চাইছে,তাদের যুক্তি একটা অনির্বাচিত আদর্শহীন সরকারের পক্ষে আদৌ কোন সংস্কার করা সম্ভব নয়।
এইগুলো কেন হয়? এর কারন,-যুদ্ধ,আন্দোলন,সংগ্রামের পর কিভাবে দেশটা চলবে,তা আগে থেকে কখনো নির্ধারন হয়নি।
তাই,পরিবর্তনের পর এডহক ভিত্তিতে চালানো হয়।আগেও হয়েছে,এবারেও তাই হচ্ছে।রাষ্ট্র পরিচালনায় কোন 'আদর্শ' না থাকায় পরিনতিতে তারা ব্যর্থ হয়।প্রতিবিপ্লবী শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পায়।
ছাত্র আন্দোলনের এক মাষ্টারমাইন্ড, যিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন,তাকে বলতে শুনলাম,আরেকবার বিপ্লবের প্রয়োজন হতে পারে।
কিন্তু বাস্তবে তা কতটুকু সম্ভব হবে..?
লেখকঃ মোঃ আলী জামান