Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আরব দেশগুলোর অনৈক্য ইসরাইলকে এগিয়ে রাখছে


আগামী নিউজ | আলি জামান প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
আরব দেশগুলোর অনৈক্য ইসরাইলকে এগিয়ে রাখছে

ঢাকাঃ কথাটা বহুলাংশে সত্য।
এর কারণও আছে। স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা ছাড়া ফিলিস্তিনের সমস্যাটা স্বাধীনতা বিষয়ে। এইটা কেউ এনে দেয় না। নিজেদের যুদ্ধ করে অর্জন করতে হয়।তাতে অনেক রক্তক্ষয় হয়।
অন্যেরা নৈতিক, মানবিক আর অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারে মাত্র।কিউবা,ভিয়েতনাম,আফগানিস্থানের কথা স্মরণ করুন।তারা নিজেরাই দেশগুলী স্বাধীন করেছে।আজ পৃথিবীর বুকে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তবে আশার বিষয়, এবারে আরব দেশগুলো অন্তত এ বিষয়ে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। বাইডেন সাহেবের সাথে মিশর,ফিলিস্থিন আর জর্দানের বৈঠক বাতিল হওয়াটা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

এখন অনেকে আবার হাউস করে ১৯৯৩ সালে আমেরিকার মধ্যস্থতায় সৃষ্ট 'অসলো চুক্তি' বাস্তবায়নের কথা বলছে।
কি ছিল অসলো চুক্তিতে? অসলো চুক্তিমত প্যালেস্টাইন কেবল একটা আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসন পাবে।কিন্তু দেশটির  নিজস্ব সেনাবাহিনী রাখতে পারবে না। যদি কোন গ্রুপ এমন বাহিনী করে,তবে প্যালেস্টাইন সরকার তাদেরকে ইসরাইলের কাছে ধরিয়ে দেবে।

ধারণা করা যায়, ইয়াসির আরাফাত সেদিন বাধ্য হয়ে এই চুক্তি করেছিল। কারণ, তখন আরব দেশগুলো আজকের মত শক্তিধর আর একতাবদ্ধ হয়নি।চাচা আপন প্রাণ বাঁচার মত অবস্থা হয়েছিল তাদের। মিশর,জর্দান,তুরস্ক, লেবানন ছিল প্যালেস্টাইনের বিপক্ষে।এমনকি ইরাকের সাদ্দামও প্যালেস্টাইনের কথা শুনে নাক সিটকাতো।

সৌদি আরবের কথা নাই বা বললাম।কেবল ইরান আর সিরিয়া ছিল পক্ষে।আজ হামাস আর লেবাননের হিজবুল্লাহ তৈরী হয়েছে- ইরান আর সিরিয়ার সহযোগিতায়। অবশ্য দেশদুটিকে এর জন্য চরম মুল্য দিতে হয়েছে।অর্থনৈতিক অবরোধ ছাড়াও তাদের উপর আমেরিকা আর পশ্চিমারা ইসরাইলকে দিয়ে- এমনকি,সরাসরিও আক্রমন করেছে।

আজকের অবস্থা কিন্তু বিপরীত। সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়া সব আরব দেশ হামাস কে সমর্থন করছে।দুই দিন আগে যে শান্তি সম্মেলন হয়ে গেল,সেখানে- ইটালী সরাসরি বললো,ইসরাইল আর প্যালেস্টাইন নিয়ে দুটি পুর্ণ স্বাধীন দেশ গঠনই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে।আরব দেশগুলো ছাড়াও গ্রীস এর সমর্থন করেছে।ফ্রান্স,বৃটেনও নীরব সমর্থন দিয়েছে।ফ্রান্সতো বলেই দিয়েছে- তারা আর আমেরিকার তল্পিবাহক হয়ে থাকতে চায় না।

ভারত প্রথম দিকে ইসরাইলকে পুর্ণ সমর্থন দিলেও- এখন সুর পাল্টিয়েছে।

অনেকে বলছে,এইসব দেশতো কেবল মৌখিক সমর্থন দিচ্ছে।সত্য।এই মৌখিক সমর্থনেরও অনেক মুল্য আছে। অস্ত্র আর লজিষ্টিক সাপোর্টও তো এখন অনেকে দিচ্ছে।

পৃথিবীর ইতিহাসে কোন স্বাধীনতা সংগ্রাম বিফলে যায়নি।সময় লেগেছে।অনেক অনেক রক্তক্ষয়ও হয়েছে।অজেয় আমেরিকা দুর্বল ভিয়েতনাম, আফগানিস্থানের কাছে পরাজিত হয়েছে। আফ্রিকার আনাড়ি মানুষগুলোও লড়াই করে বৃটেন- ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে।

পোড়ামাটির মধ্যেই 'ফিনিক্স পাখি'র জন্ম হয়।গাজা সহ পশ্চিম তীর নিয়েও স্বাধীন ফিলিস্তিন হবে।এইটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে