ঢাকাঃ রহমত, বরকত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে আবারো এলো পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেন। তাই এ মাসটি মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার ২৯ দিনে শেষ হয়েছে হিজরি শাবান মাস। শনিবার (২৯ শাবান) সূর্যাস্তের পরই দেশের আকাশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যায়, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রমজানের চাঁদ দেখে তারাবির নামাজ আদায় ও প্রথম রোজার সেহরি করেছেন। রোববার (৩ এপ্রিল) প্রথম রোজা। ঢাকায় এদিন ইফতারের সময় ৬টা ১৯ মিনিটে।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি) এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্বামী-স্ত্রীর সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
রমজানের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
এদিকে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৩ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার থেকে রমজান মাস শুরু। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর রমজানে বিধিনিষেধ ছিল। করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যায় বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। দুই বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এলো সিয়াম সাধনার মাস।
এমএম