ঢাকাঃ সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন জুমাবার। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী জুমার দিন জোহরের চার রাকাত নামাজের পরিবর্তে দুই রাকাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ফরজ। তবে, ফরজের আগে চার রাকাত ও ফরজের পরে চার রাকাত সুন্নত নামাজও রয়েছে।
সুতরাং সব মিলিয়ে জুমার নামাজ ধরা হয় মোট ১০ রাকাত। ফরজ দুই রাকাতের আগের চার রাকাত সুন্নতকে বলা হয় কাবলাল জুমা এবং পরের চার রাকাতকে বলা হয় বাদাল জুমা।
তবে সময় থাকলে জুমার দিন তাহিয়্যাতুল অজু দুই রাকাত, দুখলুল মসজিদ দুই রাকাত এবং নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। যদিও ওই নামাজগুলো জুমার নামাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
জুমার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ বলেন, 'হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝো। অতঃপর নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (সুরা জুমা: ৯-১০)
জুমার নামাজ আদায়ের নিয়ম
জুমার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা আবশ্যক। জুমা একাকি আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। তবে কোনো ব্যক্তি যদি শরিয়তসম্মত কারণে (যেমন খুব অসুস্থ হওয়ায়) জুমা আদায় করতে অক্ষম হন, তবে তার ক্ষেত্রে জোহরের নামাজ আদায় করার নিয়ম। তাছাড়া কিছু ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তির ওপর, যেমন মুসাফির অবস্থায় জুমার আবশ্যকতা থাকে না এবং সেক্ষেত্রে জোহরের নামাজ আদায় করলে তা গ্রহণীযোগ্য। তবে মুসাফির চাইলে জুমা আদায় করার সুযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, জুমার দিন পরিচ্ছন্ন হওয়া, সাধ্য থাকলে নতুন পাঞ্জাবি পরা উত্তম। এছাড়া খুশবু নেওয়া, হাত-পায়ের নখ কাটা, দ্রুত মসজিদে যাওয়ার গুরুত্ব অনেক। জুমার দিন সুরা কাহাফ ও বেশি বেশি দরুদ পড়ার বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার নামাজ যথাযথ আদায়ের তাওফিক দান করুন।
এমএম