Dr. Neem on Daraz
Victory Day

বিস্ফোরণে দগ্ধ: ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২১, ১২:২৯ পিএম
বিস্ফোরণে দগ্ধ: ছেলে-মেয়ে-স্বামীর পর চলে গেলেন স্ত্রীও

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকাঃ মুন্সিগঞ্জের চরমুক্তারপুরে আবাসিক ভবনে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে একে একে একটি পরিবারের সবাই মারা গেলেন। প্রথমে মারা যায় ওই পরিবারের দুই শিশু। এরপর তাদের বাবা মারা যান। সর্বশেষ ওই দুই শিশুর মা মোছা. শান্তা বেগমও (২৩) মারা গেছেন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু। তাকে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।

শান্তা খানম কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির কাওসার খানের স্ত্রী।

শান্তা খানমের স্বামী কাওসার খান কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের বয়লা খান বাড়ির বাসিন্দা আব্দুস সালাম খানের ছেলে। তিনি মুন্সিগঞ্জের আবুল খায়ের গ্রুপে ওয়েল্ডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শান্তা বেগমের শরীরের ৪৮ ভাগের বেশি দগ্ধ ছিল। তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।’

ডা. আইউব বলেন, ‘গত ২ ডিসেম্বর দগ্ধ একই পরিবারের চারজনকে শেখ হাসিনা বার্নে আনা হয়। ওইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিশু ইয়াছিনের (৫) মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর পৌনে দুই ঘণ্টা পরই তার বোন নোহর (৩) মারা যায়। তার শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘দুই শিশু সন্তান মারা গেলেও তাদের বাবা কাওছার (৩৬) ও মা শান্তা বেঁচে ছিলেন। কাওছারের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং শান্তার ৪৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তাদেরকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাউছার মারা যান। এরপর বেঁচে ছিলেন একমাত্র শান্তা। তিনিও গতকাল দিনগত রাতে মারা গেছেন।’

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে চরমুক্তারপুর এলাকার স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ হন বাড়ির ভাড়াটিয়া কাওছার, তার স্ত্রী শান্তা বেগম এবং তাদের দুই শিশু ইয়াছিন ও নোহর।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।

কাওসারের স্বজনরা জানান, কাওসার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন মুক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায়। গত বৃহস্পতিবার  ভোরে চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কাওসারের পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হন।

শনিবার সন্ধ্যায় কাওসার খানের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায় তার মরদেহ আনা হয়। আগের দিন আনা হয় তার দুই সন্তানের মরদেহ। আজ বৃহস্পতিবার আনা হচ্ছে শান্তা খানমের মরদেহ। গোরস্থানে তিনজনের সঙ্গে শান্তাকেও পাশাপাশি কবর দেওয়া হবে।

আগামীনিউজ/বুরহান

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে