ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় ২ বছর আগের বকেয়া বাড়ি ভাড়া চাওয়ায় জহির মুন্সি নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদ নাজমুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য জহিরের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
জহিরের চাচাতো ভাই আল-আমিন জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে জহিরকে ফোন করে পূর্ব বাসাবো হক সোসাইটির শেষ মাথায় খালপাড়ে নিয়ে যান নাজমুল। পরে সেখানে জহিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জহিরের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনরা।
তিনি আরও বলেন, দুই বছর আগে জহিরের বাসায় ভাড়া থাকতেন নাজমুল। পরে অন্যত্র চাকরি হলে তিনি বাসা ভাড়ার ৭ হাজার টাকা না দিয়ে চলে যান। তিন দিন আগে নাজমুলের সঙ্গে আবারও দেখা হয়ে গেলে পাওনা টাকা চান জহির। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটিও হয়। এর জের ধরেই জহিরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আল-আমিন বলেন, ‘মাত্র ২৭ দিন আগে বিয়ে করেছিল জহির। নতুন বউটা বিধবা হলো। পূর্ব বাসাবোর কদমতলায় তার বাসা।’
সবুজবাগ থানার (উপপরিদর্শক) এসআই মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা রাতে খবর পেয়ে সবুজবাগ হক সোসাইটির শেষ মাথায় খালপাড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় জহিরের মরদেহ দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ভোরের দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার ভগ্নিপতি আলমগীরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এ ঘটনায় জহিরের বাবা মকলেস মুন্সি বাদী হয়ে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
আগামীনিউজ/ হাসান