ঢাকাঃ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে নুসরাত জাহান (২৮) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী মো. মিল্লাত মামুনকে (২৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৫ জুন) রাতে র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. মিল্লাত মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-২-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, নুসরাত জাহান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব-২ এ বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে কল্যাণপুর বাস কাউন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টার থেকে নুসরাত জাহান (২৮) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১২ জুন বিকেলে বি-২ নম্বর কোয়ার্টারের বাসার দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মামুন মিল্লাত পলাতক ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মিল্লাত ও নুসরাত সংসদ সচিবালয়ের ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে বাসার দরজা ভেঙে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নুসরাতের স্বামী মামুন মিল্লাত পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই কোয়ার্টার সাবলেটে ভাড়া নিয়েছিলেন। তবে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয় যে, মামুন মিল্লাত পুলিশের কেউ নন, তিনি প্রতারক।
পুলিশ জানায়, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মেয়ে নুসরাত পলাতক মামুন মিল্লাতকে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায়। সেখানে তিনি জেলা ছাত্রলীগের নেত্রী ছিলেন। নুসরাত ২০১৯ সালে মামুন মিল্লাত নামে ওই যুবককে বিয়ে করেন। ওই সময় মামুন নিজেকে ৩৮তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছিলেন।