ঢাকাঃ ইউরোপগামী বাংলাদেশিসহ ২৭০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ইমাদ ট্রাবেলসি। তিনি জানান, তিউনিশিয়ার সঙ্গে থাকা সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে নিরাপত্তা ক্যামেরা বসানো হবে।
ইমাদ বলেন, প্রথমবারের মতো তিউনিশিয়ার সঙ্গে থাকা লিবিয়া সীমান্তে দিনরাতের জন্য নজরদারি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদার করতে সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
গত ৬ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লিবিয়ায় অভিবাসীদের বসতি স্থাপনের চেষ্টা করছে কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা। এছাড়া মানবপাচার এবং সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানোর লক্ষ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত কিছু অভিবাসী শিবির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ঘুরে দেখতে এসে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় অনিয়মিত অভিবাসীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কেও অবগত হন তিনি।
ইমাদ জানান, সোমালিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া এবং বাংলাদেশের ২৫০ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের আওতায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, লিবিয়া অভিবাসীদের গন্তব্য নয়, বরং ট্রানজিট দেশ। এ সমস্যা আমাদের পাশাপাশি অভিবাসীদের গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে এসব কারণে আমাদের সন্তুষ্টির কিছু নেই।
তিনি বলেন, মৃত্যুর পথ বেছে না নিতে আমরা সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি।
অভিবাসীদের রাখতে গিয়ে লিবিয়াকে মূল্য দিতে হচ্ছে জানিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রত্যেককে মৃত্যুর পথ বেছে না নিয়ে নিজ দেশে থাকার কথা বলছি। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং সমাজের ওপর যাতে বিরূপ প্রভাব না আসে সেজন্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর লিবিয়ায় আটক ইউরোপমুখী ২৭০ অভিবাসীকে প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বেশ কয়েকটি ফ্লাইট এসব অভিবাসীদের ত্রিপোলি থেকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ২৭০ অভিবাসীর মধ্যে রয়েছেন সোমালিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমআইসি