ঢাকাঃ সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সম্পদে ভরপুর উপসাগরীয় দেশগুলো তাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য গ্রহণ করেছে নানা রকম পদক্ষেপ। তাদের অর্থনৈতিক খাতকে বিস্তৃত করে দিচ্ছে। আরব আমিরাত সাধারণত বিদেশিদেরকে সীমিত পর্যায়ে ভিসা দিয়ে থাকে। তাতে তাদের কর্মস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত ভিসা দেয়া হয়। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদী আবাসিক ভিসা পাওয়া ছিল অনেক কঠিন বিষয়। কিন্তু এখন থেকে যারা নতুন ‘গ্রিন ভিসা’ধারী তারা কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই কাজ করতে সক্ষম হবেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভিসায় শিথিলতা এনেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে নিয়োগকর্তার পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই বিদেশিরা সেখানে কাজ করতে পারবেন।এ ছাড়া আবাসিক ভিসায় প্রয়োজনীয় শর্ত শিথিল করা হয়। আমিরাতের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এসব কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। রোববার এ রীতি ঘোষণা করেছে আমিরাত।
পররাষ্ট্র বাণিজ্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী থানি আল জেয়ুদি বলেছেন, তাদের বড় টার্গেট হলো দক্ষ জনশক্তি, বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষার্থী এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট। শুধু তা-ই নয়, তাদের পিতামাতা, এমনকি ২৫ বছরের ওপর বয়সী সন্তানদের স্পন্সর বা পৃষ্ঠপোষক হতে পারবেন।
তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাস মহামারি পর্যটন ও ব্যবসা খাতেও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। তেলের মূল্য কমে যাওয়ার কারণে সেখানকার অর্থনীতি এরই মধ্যে বড় রকমের ঝাঁকুনি খেয়েছে।
২০১৯ সালে বিশ্বের সম্পদশালী ব্যক্তি এবং উচ্চ মাত্রায় দক্ষ ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে ১০ বছর মেয়াদী ‘গোল্ডেন ভিসা’ চালু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। উপসাগরীয় অঞ্চলে এ ধরনের এটাই প্রথম কর্মসূচি। পরে একই রকম কর্মসূচি চালু করেছে ধনী অন্য আরব দেশগুলো। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব ও কাতার।