ঢাকাঃ আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় সুনিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব বলে ঘোষণা দিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
রোববার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, আগুনসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টার প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন তিনি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, কয়েকদিন থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। অগণতান্ত্রিক উপায়ে কারা এসব সন্ত্রাস, ভাংচুর অন্যায়গুলো করছে? তারাই এসব করছে, যারা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের মতো সন্ত্রাস ম্যানেজমেন্ট করে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা চান তত্ত্বাবধায়ক সরকার, যা গণতন্ত্রের ওপর পুরোপুরি আঘাত। আমরা রোদে পুড়বো, বৃষ্টিতে ভিজবো। তবুও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে থাকবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বিজয় সুনিশ্চিত করেই ঘরে ফিরতে চাই।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। বাইরে থেকে নির্দেশ এসেছে, কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। আমরাও বলতে চাই, সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে আমরা একজোট হয়েছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ব্রিটিশরা যেমন কাশিমবাজার কুঠি তৈরি করেছিল, তেমনি নয়াপল্টনে কাশিমবাজার কুঠি তৈরি করা হয়েছে সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নিতে। আগের দিনে বলা হতো চোরের মায়ের বড় গলা। চোর তারেক জিয়া, তার মায়ের বড় গলা। এখনকার স্মার্ট ছাত্ররা বলে, চোরের মহাসচিবের বড় গলা। জীবনানন্দ দাস বলেছিলেন, আজকে যারা অন্ধ, সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে তারা। এটা যেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে লেখা। জীবনানন্দ দাস বেঁচে থাকলে হয়তো কবিতাটি ফখরুলকে উৎসর্গ করতেন।
মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন এলে আগুন লাগিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করে। তারা বারবার বলে ঈদের পর আন্দোলন। যে আন্দোলন আমরা কোনোদিন দেখিনি। ছাত্রসমাজ ইতোমধ্যে তাদের বয়কট করেছে, তাদের কর্মসূচিতে কেউ সম্পৃক্ত হয়নি। যেভাবে লাদেন আফগানিস্তান থেকে ভিডিও বার্তা দিতেন, ঠিক সেভাবে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ভিডিও বার্তা দেন। আর ফখরুল এদেশ থেকে টাকা তুলে তার কাছে পাঠালে সে টাকা দিয়ে সে জুয়া খেলে।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, আমরা যে সংগ্রাম করছি। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করাও আমাদের সংগ্রামের অংশ।আগামীতে সরকার কে গঠন করবে তা ঠিক হবে রাজপথে। আর রাজপথ নিয়ন্ত্রণ করবে ছাত্রলীগ। দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে আমরা আপোষহীন। আমরা বেঁচে থাকতে শেখ হাসিনাকে কেউ ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। টেক ব্যাক বাংলাদেশের বিপরীতে আমাদের স্লোগান হোক ‘ওয়ানস এগেইন বাংলাদেশ’।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতাজনিত কারণে তারা সমাবেশে অনুপস্থিত থাকেন।
এমআইসি