ঢাকাঃ ক্ষমতাসীনরা তত্ত্বাবধায়কের দাবি না মানলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
তিনি বলেন, ১০ দফা না মানলে রমজানের ঈদের পর শেখ হাসিনার পতনের এক দফা আন্দোলন শুরু হবে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের পদযাত্রাপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে পদযাত্রা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী ও নির্যাতনকারী সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, এমন সময় আসবে যখন মানুষ এই সরকারকে বলবে-দুর্নীতিবাজ সরকার, ভোট ডাকাতির সরকার।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা যদি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি না মানে, তাহলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে পারে-- এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন চায় না। তারা বিশ্বাস করে, তার অধীনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের মানুষ ছাড়া বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও চায়, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সেজন্য বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশে আসছেন, সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছেন।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত ও এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টির সভাপতি ওবায়দুল হক পীরজাদা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ বাদল, এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জাগপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পল্টন মোড়-জাতীয় প্রেস ক্লাব মোড় ঘুরে পুনরায় পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগরে গিয়ে শেষ হয়।
বুইউ