বরিশালঃ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় এবং তাদের সহযোগিতা করায় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৯ জন নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের মধ্যে ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং ৯ জন সহযোগী রয়েছে।
শনিবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।
বহিষ্কৃতরা হলেন, হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পন্ডিত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ফারুক সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হরিনাথপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান সিকদার, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, মুলাদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান শরীফ ও ইঞ্জিনিয়ার মো. ইউসুফ আলী, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজেম আলী হাওলাদার, বরিশাল সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে ইটালী শহিদ, বরিশাল জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন পান্না, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাছের আহমেদ বাচ্চু, গারুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন তালুকদার মিন্টু, কলসকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার, বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মীর, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মনির খান, ইসমাইল বেপারী এবং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুর রব বেপারী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও দলের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন তারা। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে বরিশাল জেলা কমিটি তাদের স্ব-স্ব পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃতদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ বা নৌকা বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।