ঢাকাঃ ভেঙে গেলো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। গণফোরাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া একটি অংশের এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। নতুন গণফোরামের অংশটি আগামী ২৬ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের ঘোষণা করেছে।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়া হয়।
সভায় গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ বলেন, ‘বর্ধিত সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী ও গণমুখী করার লক্ষ্যে আগামী ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এই জাতীয় কাউন্সিলকে সফল করার লক্ষ্যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে আহ্বায়ক করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
গণফোরাম নামের আরেকটি দল গঠন করতে যাচ্ছেন কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘২৬ ডিসেম্বরের কাউন্সিলে উপস্থিত ডেলিগেটদের মতামত নিয়ে নতুন দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
ড. কামাল হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কী? এই প্রশ্নের জবাবে মন্টু বলেন, ‘আমরা এখনও বিশ্বাস করি, ড. কামাল হোসেন আমাদের সঙ্গে আসবেন। বির্তকিত লোকদের পরিহার করবেন। মাঠের পোড় খাওয়া লোকদের নিয়ে এগিয়ে যাবেন। আর তিনি না আসলে তার বহিষ্কারের বিষয়ে আমাদের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নিবো।’
‘সম্মেলনে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা আসবে, তাদের মতামতের সাপেক্ষে তার বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো’ যোগ করেন তিনি।
আপনারা কী তাহলে ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন? জানতে চাইলে মন্টু বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের বিষয়ে আমরা এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নিবো না। সামনে আমাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির মিটিং আছে, সেখানে সিদ্ধান্ত নিবো।’
‘ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জামায়াত’ এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিলো না।’
‘অর্থবহ পরিবর্তনের লক্ষে গণফোরাম জাতীয় ঐক্য চায়’ বলেও মন্তব্য করেন মন্টু।
‘বর্ধিত সভায় গণফোরামের কতজন জেলার প্রতিনিধি আছে’ জানতে চাইলে দলটির সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে গণফোরামের ৫২ জেলার ২৮৩ জন প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।’
বর্ধিত সভায় গণফোরামের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামীনিউজ/আশা