ঢাকাঃ বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ, উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে ভারতের সমর্থন থাকবে।’
শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে শোক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি।
হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে রয়েছে। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় পাশে রয়েছে ভারত। ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ-ভারত শক্তিশালী বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের যৌথ সংগ্রাম এবং জনগণের আত্মত্যাগ উভয় দেশের মধ্যে অটুট সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বন্ধন সৃষ্টি করেছে, যা অব্যাহত থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের উত্তরাধিকার ও চেতনা রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ও তার আত্মত্যাগের সম্মানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত কাজ করবে। আর এটাই হবে বঙ্গবন্ধু ও তার উত্তরাধিকারের প্রতি সর্বকালের সেরা শ্রদ্ধাঞ্জলি।’
যোগাযোগ, নিরাপত্তা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘চরমপন্থা, অসহিষ্ণুতা এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘সরকারের সুস্পষ্ট বক্তব্য- সংবিধানের বাইরে নির্বাচন নয়। এ দেশের ৩০ লাখ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান শুধু নির্বাচন নয়, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে পথ দেখায়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়া হচ্ছে।’
এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ২১ দেশের নির্বাচন নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই। ওনাদের দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন- হেরে গেলে ফল মানব না। তারা আজ আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেন। যখন ইয়াহিয়া খানের অধীনে নির্বাচনে বিজয়ীকে ক্ষমতা দেওয়া হলো না, তখন মানবতা কোথায় ছিল? জিয়ার সময়ে ভোটের নামে যা হয়েছে তখন তো মানবতার কথা বলা হয়নি। বরং হত্যাকারীদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব, রক্তে লেখা বন্ধুত্ব। এ বন্ধুত্ব কেউ ইচ্ছে করলে মুছে ফেলতে পারবে না। অপশক্তির চেষ্টা চলছে, তবে তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হবে।’
এমআইসি