ঢাকাঃ আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বন্দুকের জোরে, আবারও তারা বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, এদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সর্ম্পক নেই। গণতন্ত্রের সর্ম্পক নেই। শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের সঙ্গে মিল আছে উগান্ডার, নাইজেরিয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার।
বুধবার (৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমমনা পেশাজীবী গণতন্ত্র জোট আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে রায় বাতিল এবং এক দফা দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
দুদু বলেন, এতদিনে সবাই জেনে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য যা যা করা দরকার বিএনপি ও বিরোধী দল করবে। এটা আপনারা মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হবে। অসম্মানিত হওয়ার আগে পদত্যাগ করলে সেটা হবে আপনাদের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা। আজকে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে তা শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছাড়া কোনোভাবে সমাধান করা যাবে না।
তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পুলিশ প্রশাসন, বিচারবিভাগকে শতভাগ দলীয়করণ করেছে। আগে সরকারের লুটপাটের কথা বিরোধী দল বলতো এখন বিদেশিরাও বলছে। আমেরিকার দুর্নীতিবিষয়ক সম্পাদক এসেও বলছে কীভাবে দুর্নীতি বন্ধ করা যায়। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। সরকার ভয় পেয়েছে। দেশকে বিদেশিদের চারণভূমিতে পরিণত করছে সরকার। শুধু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেন নাই। স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছেন।
আইনমন্ত্রীর সমালোচনা করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ডিজিটাল আইন বাতিল করে সাইবার আইন করার উদ্যোগ নিয়ে আইনমন্ত্রী আপনি কী করলেন তা নিয়ে জনগণের মাথা ব্যাথা নেই। দুই এক মাসও না হয়তো বা এমনও হতে পারে ডিসেম্বরে মধ্যে আপনাদের পদত্যাগ করা লাগবে।
সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোটের প্রধান সমন্বয়কারী মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং আসাদুল হক অহিদুলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা এম নাজমুল হাসান, সাঈদ খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাইনুদ্দিন মজুমদার, রমিজ খান, ওমর ফারুক, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বুইউ