ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৫ আগস্টের খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, বঙ্গবন্ধুর ছায়া কেও ভয় পেয়েছিল। সে কারণে রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শেখ কামালের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ কামালের জন্মদিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। মরহুম শেখ কামাল ছিলেন একজন মেধাবী তরুণ। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।
শেখ কামাল বহুগুণে গুণান্বিত একজন মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি যেমন ছিলেন একজন ক্রীড়া সংগঠক ঠিক তেমনি ছিলেন একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠক। তিনি আবাহনী ক্রীড়া চক্রের মতো একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে দাঁড় করিয়েছিলেন। যেই সংগঠন বাংলাদেশের ফুটবলকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল এবং আধুনিক ফুটবলের সূচনা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল শুধু ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন সদস্যও ছিলেন। এরকম একজন মেধাবী তরুণকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল। তাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে এমন একজন মেধাবী হত্যা করা হয়েছিল, যিনি পরবর্তী কালে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন। তিনি বেঁচে থাকলে জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। ১৫ আগস্টের খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, বঙ্গবন্ধুর ছায়া কেউ তারা ভয় পেয়েছিল। সে কারণে রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল। আজকের এই দিনে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপির মিছিলে এখনো স্লোগান হয় ১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আর একবার। তারা যে ১৫ আগস্ট এর ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের নেতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট এর ঘটনার পেছনের নায়ক এই স্লোগানের মাধ্যমে তারা সেটা স্বীকার করে নিয়েছে। ১৫ আগস্টকে উপহাস করে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন ও কেক কাটেন। এই অপরাজনীতি দেশ থেকে চিরতরে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
এর আগে সকাল ৮টায় ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এদিকে গতকাল শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাবে শেখ জামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত আবাহনী ক্লাবের সদস্যরা। এ ছাড়াও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বিভিন্ন ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররাও শ্রদ্ধা জানান। জাতির এই সূর্য সন্তানের জন্মদিনের প্রথম প্রহরে ক্লাব প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন অনেক সাধারণ মানুষও।
ফুল দেয়া শেষে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। আবাহনী ক্লাবকে ঘিরে শেখ কামালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিটি জেলায় ক্লাবের শাখা খোলার আহ্বান জানান সমর্থকরা।
শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে।
বুইউ