Dr. Neem on Daraz
Victory Day

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের স্বাধীনতা : তথ্যমন্ত্রী


আগামী নিউজ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০৪:১৪ পিএম
আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের স্বাধীনতা : তথ্যমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ঢাকাঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে আওয়ামী লীগের নাম। যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে, বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে।

শুক্রবার আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন। সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা যেন সেই হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্যই, যাদের নেতৃত্বে আমরা ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছি। সে কারণে এই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৯ সালের এ দিনে ঢাকার রোজ গার্ডেনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়েছিল। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে আরও শাণিত করার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নাম আওয়ামী লীগ হয়। ১৯৫০ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়। কারণ ১৯৫২ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি পাকিস্তানি সরকার মেনে নিলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তা প্রতিষ্ঠা করেনি, সেটি করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। 

এমআইসি

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে